• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মালদায় ফের অস্ত্র উদ্ধার

মালদার মানিকচক থানার শংকর টোলা ঘাট থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি সেভেন এম এম পিস্তল, দশটি ম্যাগাজিন ও ৯০ রাউন্ড কার্তুজ।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

ভােটের আগে আবার অস্ত্র উদ্ধার মালদায়। মালদার মানিকচক থানার শংকর টোলা ঘাট থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি সেভেন এম এম পিস্তল, দশটি ম্যাগাজিন ও ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। গােপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকে অভিযান চালায়। এসটিএফ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ব্যাগ সার্চ করে উদ্ধার হয় এই আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি।

ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা ও বাকি দুজন মালদার রতুয়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সনু চাঁদ চৌধুরী, বাড়ি মালদা রতুয়া থানার পশ্চিম রতনপুর গ্রামে, ঝাকাসু চৌধুরী, বাড়ি পশ্চিম রতনপুর গ্রামে ও সৈয়দ সুলতান আহমেদ। বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার আমেদাবাদ থানার ত্রিমােহিনী গ্রামে।

এই ঘটনার পর যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির অভিযােগ শাসকদলের মদতেই অস্ত্র মালদা জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের আগে মজুত করা হচ্ছে। বিজেপির মালদা জেলার সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঠিক একই কায়দায় অস্ত্র মজুত করে সন্ত্রাস চালিয়েছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

লােকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সক্রিয় ছিলেন বলে সে ভাবে সন্ত্রাস করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস করা ছাড়া কোনাে উপায় নেই আর সেই কারণেই তাদের মধ্যেই এই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন একটু সক্রিয় হওয়াতেই পুলিশের এই অভিযান। আমরা দাবি করব সমস্ত অস্ত্র নির্বাচনের আগে উদ্ধার করতে হবে। অভিযােগ অস্বীকার করে তৃণমূলের মালদা জেলার কো অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের মধ্যে ১ জন বিহারের বাসিন্দা। বিহার কাদের শাসিত এলাকা?

বিজেপি তাদের বহিরাগত নেতাদের যেমন আছে তেমনি তাদের শাসিত ঝাড়খন্ড বিহার থেকে নদী পার করে মালদা জেলায় অস্ত্র ঢোকাচ্ছে। নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস করার জন্য। জেলার পুলিশ সুপার অলােক রাজোরিয়া বলেন, ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।