নিজস্ব প্রতিনিধি— তৃণমূল করেন, কিন্ত্ত বলতে নাকি লজ্জা পান এমনই মন্তব্য অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়কের৷ তাঁর মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গেছে৷ বাস্তবেই কি এমন ভাবেন তৃণমূলের একাংশ? প্রশ্ন উঠছে৷ শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রাজীবপুর বিরা পঞ্চায়েতের অনন্তপাড়া এলাকায় গ্রামীণ তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীদের সঙ্গে এক কর্মী সভার আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার-সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সেই সভা থেকেই এমন মন্তব্য করেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী৷
ঠিক কি বলেছিলেন তিনি? ‘ফেরিওয়ালা’ এর সঙ্গে তুলনাও করেছেন তৃণমূলকে৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘ যিনি বাদাম বিক্রি করেন তিনি যদি বাসে, ট্রেনে উঠে সেটা বলতে লজ্জা পান, তাহলে তার বাদাম বিক্রি হবে? আমাদের কর্মীদেরও লজ্জা করলে চলবে না৷ বাদাম ওয়ালা যেমন জোরে জোরে বলেন বাদাম নেবে গো বাদাম, তেমনভাবেই কর্মীদেরও পাড়া প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে বলতে হবে, ভোটটা তৃণমূলকে দেবেন৷’ এরপরই বলেন, ‘দলের মধ্যে অনেক কর্মী রয়েছেন, যাঁরা প্রকাশ্যে নিজেদের তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করেন৷’ তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থক যে সমার্থক বা একই বিষয় না, তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি৷
রবিবারে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তিনি সকল জল্পনায় ইতি টেনে বলেন, যারা তৃণমূল করেন তাঁরা মানুষের কাছে গিয়ে সেটা বলতে লজ্জা পান না৷ এক্ষেত্রে লজ্জা পাওয়ার কথাও নয়৷ বরং বাস্তবেই যেকোনো রাজনৈতিক দল ‘ফেরিওয়ালা’, রাজনৈতিক নীতি মতাদর্শ রাজনৈতিক নেতৃত্বদেরই ফেরি করতে হয় সাধারণ মানুষের কাছে৷
বাস্তবেই কি বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর মন্তব্য ঠিক? নাকি তাঁর ব্যক্তিগত উপলব্ধি, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জল্পনা৷ তাঁর এমন মন্তব্যের কারণটাই বা কি সে নিয়েই দেননি কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা৷ যদিও এ প্রসঙ্গে নারায়ণ গোস্বামীর তরফ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি এখনো৷