আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের জন্য তোলা ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা নির্যাতিতার মা-বাবাকে দেওয়া হোক, দাবি শ্রীশের

ফাইল ছবি।

আরজি কর কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতার বিচারের জন্য ক্রাউডফান্ডিং করে যে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তুলেছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফেডারেশুন (ডব্লুজেডিএফ), সেই টাকা নির্যাতিতার মা-বাবাকে দেওয়া হোক – এমনটাই দাবি জানালেন জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন আরেক সংগঠন জুনিয়র ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী।

মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রীশ জানান, ‘এখন তো আর আন্দোলন হচ্ছে না। তাহলে নির্যাতিতার নামে বাজার থেকে তোলা ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের হেফাজতে রাখা হবে না কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্তানকে হারিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা শেষ বয়সে সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। এই টাকা তাঁদের কাজে লাগতে পারে। তাছাড়া তাঁরা চাইলে নির্যাতিতার স্মরণে এই টাকা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও দিতে পারেন।’


ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট অনৈতিকভাবে টাকা তুলেছে বলে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। সেই বিপুল পরিমাণ অর্থের সোর্স কী, বা তার যথাযথ অডিটের দাবি জানিয়েছিল তারা। শ্রীশের গলাতেও আভাসে ইঙ্গিতে শোনা গেল সেরকমটাই। তিনি বলেছেন, ‘কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে, কীভাবে টাকা খরচ করা হয়েছে, সঠিকভাবে তদন্ত হলে অনেক বেনিয়ম সামনে আসতে পারে।’

এই প্রসঙ্গে এখনও ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা একজোট হয়ে গড়ে তুলেছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। রাজ্যজোড়া মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে দুর্নীতি, ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব হয়েছিল এই ফ্রন্ট এবং এদের মুখপাত্র কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতোর মতো জুনিয়র চিকিৎসকরা। এঁদের বিরোধিতা করেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন মঞ্চটি গড়ে ওঠে। এঁরা পালটা অভিযোগ আনেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, ফ্রন্টের জুনিয়র ডাক্তাররা ‘টেরর কালচার’ চালান।