রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে নতুন উপাচার্য। শুক্রবার এই খবর জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোশাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ জট কেটে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৬ বিশ্ববিদ্যালয় এবার স্থায়ী উপাচার্য পেতে চলেছে। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তবে তার মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গিয়েছে।
বাকিদের নামও ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসবে বলে খবর। প্রেসিডেন্সি, কল্যাণী, বর্ধমানের মতো নামী বিশ্ববিদ্যালয় এবার স্থায়ী উপাচার্য পেতে চলেছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার নেবেন শংকরকুমার নাথ। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কল্লোল পাল। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছে রূপকুমার বর্মনকে। রানি রাসমনি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অমিয়কুমার পণ্ডা। সিধো-কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসছেন পবিত্রকুমার চক্রবর্তী।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই জটিলতা চলছে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। এরপর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে ‘সার্চ-অ্যান্ড-সিলেকশন’ কমিটি তৈরির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই কমিটিই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য নিয়োগের জন্য পছন্দ মতো তিনটি নামের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিল। সেই তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্যপালকে পাঠান। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের প্রস্তাবিত নামেই সায় দিয়েছেন তিনি।
উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ২৬ জুলাই থেকে ২৩ অগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করে উচ্চশিক্ষা দফতর। তার পর দু’দফায় চলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। সেখান থেকেই উপাচার্য পদপ্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই তালিকা থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিন জনের নাম বেছে রাজভবনকে পাঠায় নবান্ন।