যোগ্য ও বঞ্চিতদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, যোগ্য ও বঞ্চিতদের পাশে মানবিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে থাকবে সরকার। চাকরিহারাদের মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক বার্তার উপর ভরসা রাখার আর্জিও জানিয়েছেন ব্রাত্য।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিরতদের ভাগ করতে পারেনি, এই তথ্য ভুল। কারণ এসএসসির দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কাদের বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে এবং কাদের দিতে হবে না। তাই এই তথ্য ভুল যে যোগ্য–অযোগ্য ভাগ করতে পারেনি এসএসসি। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, সুপ্রিম কোর্ট এসএসসির দেওয়া তথ্যে সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
চাকরিহারাদের স্কুলে যাওয়া প্রসঙ্গে শুক্রবার ব্রাত্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যে চাকরিহারারা শুক্রবার থেকে স্কুলে যাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের কী করণীয়। শিক্ষাদপ্তরের কাছে এমন তথ্য নেই যে চাকরিহারারা স্কুলে যাচ্ছেন না। যদিও চাকরিহারারা স্কুলে যেতে পারেন কি না, এর উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানিযেছেন, এ বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলতে পারেন না।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সমস্ত আইনি ও টেকনিক্যাল বিষয় এসএসসি-র অধীনস্ত। সবসময় বিভাগীয় সাহায্য করা হবে। এসএসসির কোনও আইনি সাহায্য প্রয়োজন হলেও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘বিভাগীয় দায়িত্ব থেকে বলছি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সকল যোগ্য এবং বঞ্চিত চাকরিহারাদের সঙ্গে মানবিক ও রাজনৈতিক দু’ভাবে আছি, থাকব।
চাকরিহারা শিক্ষকদের কাছে আমার একটাই আবেদন, আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক বার্তার উপর আস্থা রাখুন। আমি আবেদন করব, যোগ্য এবং বঞ্চিত চাকরিহারাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে দেখা হোক।’ ব্রাত্য আরও বলেন, ‘এসএসসি ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের কাছে আইনি স্পষ্টীকরণ চেয়েছে। এরপর দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।’