• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজ্যে এবার পুজোয় দরাজ হস্ত মুখ্যমন্ত্রী

বাকি শুধু ঢাকে কাঠি পড়ার। পুজোর 'কাউন্ট ডাউন' শুরু হয়ে গেল শুক্রবারে প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠকের মধ্যে দিয়েই বাংলার আকাশ বাতাস পুজোর গন্ধে মাতােয়ারা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

বাকি শুধু ঢাকে কাঠি পড়ার। পুজোর ‘কাউন্ট ডাউন’ শুরু হয়ে গেল শুক্রবারে প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠকের মধ্যে দিয়েই বাংলার আকাশ বাতাস পুজোর গন্ধে মাতােয়ারা। অন্য দিকে পুজো উদ্যোক্তারাও চওড়া হাসি নিয়ে নেতাজি ইন্ডাের ছাড়লেন। কারণ একটাই। রাজ্যের দীন দুখিনী মা’ই এবার পুজোর দরাজ হস্ত।

পুজো কমিটিগুলাের জন্য রাজ্যের অনুদান দশ হাজার টাকা থেকে এক লাফে বেড়ে পঁচিশ হাজার টাকা ঘােষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনিও এও বলেন, আমি জানি খুব আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে আর্থিক মন্দাও চলছে। কিন্তু পুজো তাে করতেই হবে আমরা কারাে কাছে ভিক্ষা চাই না কারাে দয়াও চাই না। মুখ্যমন্ত্রীর এক ঘােষণায় নেতাজি ইন্ডােরে পুজো উদ্যোক্তাদের হাতহালির ঝড় ওঠে।

এখানেই শেষ নয়, অন্যান্য বারের মতাে বড় ক্লাব গুলিকে দশটি ছােট পুজো কমিটিকে আর্থিক সাহায্য করার পরমর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াজ মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলােকে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশকে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

এর সাথেই পুজো কমিটিগুলােকে ‘আয়কর দিতেও সরাসরি নিষেধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুজোয় ইনকামট্যাক্স দেবেন না আমরা এটা নিয়ে লড়াই করছি। দুর্গাপুজোও হবে ট্যাক্স ফ্রি। অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি মেনে রাজ্য বিদ্যৎ বন্টন নিগম এবং সিইএসসি পুজো কমিটি গুলােকে বিদ্যুতের মাশুলে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও ঘােষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিসর্জনের দিনক্ষণ থেকে কার্নিভালের জন্য নির্ধারিত দিনও নেতাজি ইন্ডাের থেকে জানিয়ে দেন তিনি। ১১ অক্টোবর রেড রােডে হবে। এবং ৮ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের দিন স্থির করে দেওয়া হয়েছে। সমন্বয় মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল দেখতে রেড রােডে গতবার হাজির হয়েছিলেন ১৮০০ বিদেশি নাগরিক।

এদিন বড় পুজো কমিটিগুলােকে কড়া সমালােচনা করতেও পিছপা হননি মুখ্যমন্ত্রী। ভিআইপি গেট এবং পাস প্রথার তীব্র সমালােচনা করেন। রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীদের পুজোয় ভিআইপি গেট ও পাস তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা হয় এমন প্রথা না থাকাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি পুজো দেখতে বেরিয়ে অযথা হুড়াে হুড়ি করায় নিষেদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কচুয়ার দুর্ঘটনা কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই সাধারণ মানুষের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এই বিশেষ আবেদন।