শূন্যে একাধিক গুলি চালিয়ে ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনা অনুষ্ঠান হল মালদহের মানিকচকে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি হেফাজতে নিয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ। একই সঙ্গে যে চারজন বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গুলি চালানোর দরকার হলেও অনুমতি নেওয়া দরকার ছিল। সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। তাঁর প্রশ্ন, কারও প্রাণহানি হলে কে জবাব দিত?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার মানিকচক ব্লকের নূরপুর অঞ্চলের টিপটপ ক্লাবের উদ্যোগে ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সারারাতব্যাপী ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌম্যদীপ সরকার টিংকু, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কবিতা মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা।
অভিযোগ, টুর্নামেন্টের সূচনায় শূন্যে একাধিক গুলি চালানো হয়। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়।
এই বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত ক্লাবের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলির লাইসেন্স আছে কি না, কার, কেনই বা খেলাধুলোর মাঝে এভাবে শূন্যে গুলি চালানো হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি ভলিভল টুর্নামেন্টে মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। ব্যবহৃত চারটে বন্দুকের লাইসেন্স আছে। কিন্তু অস্ত্র আইল লঙ্ঘন হয়েছে ওই ঘটনায়। অস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মনসুর আহমেদ খান, মোহাম্মদ আমিনুর রহমান খান, আলকামা খান চৌধুরী এবং মহম্মদ বখতোয়ার খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অশান্ত রয়েছে মালদহ। ১২ দিনের ব্যবধানে খুন হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তাঁদের খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। এই পরিস্থিতিতে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কার্যত দাপাদাপি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।