• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

দক্ষিণবঙ্গে বন্যার প্রভাব বাজারমূল্যে, আকাশছোঁয়া সবজির দাম

নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম শুনলে চমকে ওঠার মতো অবস্থা। কাঁচা লঙ্কার দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ১ কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দামে।

পুজোর আগে বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বন্যার জল নামলেও এখনও পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারেননি অনেকেই। কেউ হারিয়েছে বাড়ি, কারও ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে, কারও আবার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু থাকলেও নেই পর্যাপ্ত খাবার এবং পানীয় জল। সরকার, অন্যন্য রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংস্থার তরফে ত্রাণ মিললেও পরিস্থিতি কবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বন্যা দুর্গতরা। এই আবহে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। দুর্গাপুজোর মুখে কাঁচা সবজির দাম শুনে মধ্যবিত্তের রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বিভিন্ন বাজারে ছবিটা এমনই। বিক্রেতাদের কথায়, বন্যায় অধিকাংশ ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ফলন হয়নি। নষ্ট হয়েছে বহু ফসল। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাজারে যোগানও কম। তাই সবজির বাজারদর এখন আগুন। দামের বিনিময়ে ভাল গুণমানের সবজিও মিলছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তাই এত টাকার বিনিয়মে সবজি কিনতে কালঘাম ছুটছে সাধারণ মানুষের।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম শুনলে চমকে ওঠার মতো অবস্থা। কাঁচা লঙ্কার দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ১ কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দামে। এছাড়াও ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, করোলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, একটি ছোট ফুলকপি ৩০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজি কিনতে বিক্রেতাদের কালঘাম ছুটলেও কৃষকদেরও হাত-পা বাঁধা। কারণ বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাই। তাঁদের জমিতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তাই পর্যাপ্ত যোগানেও অভাবের জেরেই পুজোর আগে সবজি বাজার আগুন।

যদিও পুজোর আগে বাজারে যাতে সবজির যোগান স্বাভাবিক থাকে এবং দামও নিয়ন্ত্রিত থাকে তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য। সুফল বাংলার স্টলেও পর্যাপ্ত সবজি মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা সহ প্রায় সব জেলায় চলছে টাস্ক ফোর্সের অভিযান। দ্রব্যটমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে শুক্রবারই নবান্নে টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠক হয়।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, কৃষি দপ্তরের আধিকারিক-সহ টাস্ক ফোর্স, আলু ব্যমবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা। পুজোর সময় বাজারে জোগান বাড়াতে হিমঘরে মজুত থাকা আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিমঘরে আলু মজুত রেখে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো যাবে না। কড়া নির্দেশ রাজ্যের। রাজ্যের তৎপরতায় পুজোর আগে সবজির দাম আদৌ কমে কি না সেটাই দেখার।