পেট্রোপণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। যার জেরে কিছুটা হলেও কমেছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। পাশাপাশি রাজ্যগুলির কাছে ভ্যাট কমানোর আরজিও জানিয়েছে মোদি সরকার। যাতে পেট্রোপণ্যের দাম আরও কিছুটা কমে।
পেট্রল-ডিজেলের উপর কর কি কমাবে বাংলার ‘’জনদরদী’ তৃণমূল সরকার? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পালটা জবাবও দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরই ফেসবুকে দিলীপ ঘোষ লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল, ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি সরকার কমানোর ফলে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম কমল ৫ টাকা এবং লিটার প্রতি ডিজেলের দাম কমল ১০ টাকা।
এবার নিজেদের জনদরদী বলে দাবি করা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের স্বার্থে ভ্যাট কম করা। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্য রাতারাতি পেট্রল, ডিজেলের শুল্ক কমিয়েছে। বাংলায় কবে কমবে?
প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের নিজেরাই দাম বাড়াচ্ছে, আবার সমালোচনার মুখে পড়ে নিজেরাই দাম কমাচ্ছে। পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকার তো বেশি কর পায়। সেখান থেকে কর কমালে কেন্দ্রের কোষাগারে চাপ পড়ে না।
মুখপাত্র বলেন, কিন্তু রাজ্য কর কমালে তার চাপ পড়বে কোষাগারে। তবু রাজ্য যদি কর কমায়, তার জন্য সময় দিতে হবে। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কর হ্রাস নিয়েও তোপ দেগেছেন কুণাল।
তাঁর কথায়, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির তো কোনও বকেয়া নেই। কেন্দ্র সব পাওনা মিটিয়ে দেয়। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে চাপ পড়ে। তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া থাকে না।
এবার কেন্দ্র হয়তো সেই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকে বলে থাকবে, পেট্রোপণ্যের উপর কর কমাও। অন্যখাতে সেই ক্ষতিপূরণ করে দেবে। হতেই পারে রাজনীতির স্বার্থে কেন্দ্রের কোষাগার ব্যবহার করা হবে।
দেশের অধিকাংশ রাজ্যে পেট্রল ১১০ টাকা এবং ডিজেল ১০০ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল। যার ফলে চাপ বাড়ছিল কেন্দ্রের উপরও। সম্প্রতি ১৩ রাজ্যের উপনির্বাচনেও এর প্রভাব পড়েছে।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দিওয়ালির ঠিক আগে আগে জ্বালানি তেলের শুল্কে বড়সড় ছাড় ঘোষণা করে মোদি সরকার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা এবং পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, কেন্দ্রের পথে হেঁটে একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যও একধাক্কায় কমিয়েছে কর।