আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভােটের প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে সােমবারই। মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভার ভােট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেতাদের নিয়ে নিজের প্রিয়নাথ মল্লিক রােডের দলীয় কার্যালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি। ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় ভােটের প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ উদ্যোগী তৃণমূল নেতারা।
এদিকে এই ভােট নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে নামতে প্রস্তুত বিজেপিও। সােমবার শেষদিনের প্রচারে তুমুল বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভােট স্থগিত করার আবেদন নিয়ে কমিশন এমনকী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতারা। যদিও মঙ্গলবার আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট দিনেই ভােট হবে।
তবে কোনও ভােট পূর্ববর্তী হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হল। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ভােট গ্রহণ পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। ভবানীপুর বিধানসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যারা বুথ প্রতিনিধি হিসেবে বসবেন, তাদের নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক বৈঠক হয়েছে মঙ্গলবার।
সােমবার রাতেই ভবানীপুরেরর বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে নিজের অফিসে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। ভােটের দিন বুথ এজেন্টরা কীভাবে দায়িত্ব সামলাবেন সেসব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। মঙ্গল এবং বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় মঙ্গলবারই ওয়ার্ডভিত্তিক ভােটের প্রস্তুতি বৈঠক সারা হয়েছে।
ভােটের দিন যাতে কেউ মাথাগরম না করেন, কোনও প্ররােচনায় পা না দেন, সেই বিষয়ে শীর্ষ নেতারা প্রয়ােজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে উপনির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার লালবাজারে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠক করেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারকিরা।
লালবাজার সূত্রে খবর, ভবানীপুরে ভােটগ্রহণের আগের দিন থেকে পরের দিনগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। নির্বাচনের সময়ে আগে এবং পরে বিধানসভা এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ লালবাজার থেকে মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি বুথের সামনে মােতায়েন থাকবে বাড়তি ফোর্স। রাখা হবে মহিলা পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা হবে।