প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত মেখলিগঞ্জ হাসপাতাল, লেবার রুমে ভাঙচুর

আরজি কর কাণ্ডের অভিযুক্তর শাস্তি, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরই মধ্যে ফের রাজ্যে হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হল। অভিযোগীর তির রোগীর পরিবার-পরিজনদের দিকে। ভাঙচুরের ঘটনায় রোগীর দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, শনিবার দুপুরে মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হন ওই প্রসূতি। তাঁর প্রসব যন্ত্রণা উঠলেও চিকিৎসক ও নার্সরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। রাতেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। আর এতেই ক্ষেপে ওঠেন তাঁর পরিবার-পরিজনেরা। হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে লেবার রুমে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। জখম হন কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে রোগীর দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করেছেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন। কর্মবিরতি শুরু করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।


চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট হাসপাতালের বিরুদ্ধেও। বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হন আদিত্য মোহান্ত নামে এক যুবক। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁর পরিবার-পরিজনেরা। বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রকৃত তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়েরা।

মৃত যুবকের কাকা বলেন, নার্স ও চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই ওঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাব।