রাজ্যে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হতে চলেছে। এই কারণে খুশি রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। দক্ষিণেশ্বর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে আগরপাড়ায় বিটি রোডের উপর বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠতে চলেছে। সুবিশাল এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, বিধানসভায় শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিল পাশ করা হবে।
১৯৯৯ সালে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের তৎকালীন সম্পাদক স্বামী নিত্যানন্দজি মহারাজ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ম নীতি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দপ্তর নতুন আইন তৈরির উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে নতুন আইন তৈরি হয়। এরপরই রাজ্য সরকারের কাছে ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির আবেদন জানানো হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিত্যরূপানন্দজি। তাঁর কথায়, ‘এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা তাকিয়ে রয়েছি কবে বিধানসভায় এই বিল পাশ হবে। সেদিনই আমরা সর্বত্র পুজো দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু করব। দুঃস্থ অনাথ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্যই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এই প্রতিষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। আগামী দিনে আরও বেশি করে দুঃস্থ ও অনাথ শিশুরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।’ মিশন কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, রামকৃষ্ণ মিশনের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলে উচ্চশিক্ষার জন্য এলাকার ছেলেমেয়েদের আর বাইরে যেতে হবে না।