দেগঙ্গা থানার কলাপোল এলাকায় শনিবার পরপর দু’টি বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার জিনিস হাতিয়ে নিলেও ডাকাতদের ব্যবহারে চমকে গিয়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরা। হাতজোড় করে ডাকাতিতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি ডাকাত দল। পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে জল এনেও খাওয়ায় তারা। ডাকেন মা বলেও। এ ঘটনায় হতভম্ব পুলিশও। ডাকাত ধরতে বিশেষ দল গঠন করল জেলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় দুটি বাইকে মোট ৬ জন দুষ্কৃতী মৃণাল চৌধুরির বাড়িতে হানা দেয়। বাড়ির গেট খোলা ছিল। সেই সুযোগে বোমা-বন্দুক হাতে তারা সোজা বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। ঘরে ঢুকে মহিলাদের ‘মা’ বলে সম্বোধন করে ডাকাতিতে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তবে হাতে ছিল বোমা-বন্দুক। ঘটনার আকস্মিকতায় ভয়ে, বিস্ময়ে বাড়ির মহিলারা হতবাক হয়ে গেলে ডাকাতরা তাদের বলে, ‘মায়েরা মোবাইলের সুইচ অফ করে দিয়ে দিন। আলমারির চাবিটা দিয়ে শান্ত হয়ে বসুন। কেউ চিৎকার চ্যাঁচামেচি করবে না। এ সময়েই বাড়ি ফেরেন পরিবারের সদস্য, পেশায় আইনজীবী প্রতিম চৌধুরী। ডাকাতরা তাকেও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্বাগত জানান। পরে প্রতিম বলেন, ‘আমি বাজার থেকে ফিরে বাড়িতে ঢুকতেই পাহারায় থাকা এক ডাকাত আমার হাতে একটি বোমা ধরিয়ে দিয়ে বসিয়ে দেয়। মহিলাদের মা বলে সম্বোধন করছিল ওরা, কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি, কাউকে আঘাতও করেনি।’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।