‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’ নিয়ে কোনও জালিয়াতি বরদাস্ত করা হবে না। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সরকারি প্রকল্পের ফর্ম পূরণের জন্য নয়া নিয়মকানুন জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৬ আগস্ট থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসুচির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে।
যদিও বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনই এই দুয়ারে সরকার চালু করা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিকভাবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আলাদা কাউন্টার খােলা হচ্ছে। সেখান থেকে বিলি করা হবে ফর্ম। ফর্মে থাকবে ইউনিক নম্বর। সেই নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে সরকারের কাছে। এই নম্বর ছাড়া ফর্ম পূরণ করা যাবে না।
বাইরে থেকে বা জেরক্স করে এই ফর্ম ব্যবহার করা যাবে না। কোনও সংগঠন যাতে এই ফর্ম নিয়ে বাইরে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতে না পারে, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ – এর ফর্মই নয়, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্মেও এবার থেকে আসতে চলেছে ইউনিক নম্বর।
আর এই নিয়ে কারও কোনও অভিযােগ থাকলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জানানাে যাবে দু’টি টোল ফ্রি নম্বরে। এই নম্বর দু’টি হল ১০৭০ ২২১৪-৩৫২৬। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন, যারা সরকারি চাকরি করেন, পেনশন পান কিংবা বেসরকারি চাকরিতে ভালাে বেতন পান, তারা এই প্রকল্পের আওতায় থাকবেন না।
এছাড়া বাকি মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা (জেনারেল) এবং তফশিলি জাতি উপজাতির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। চলতি বছরের ৬ নভেম্বর অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিন থেকে ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচি চালু হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু এই রাজ্যের বাসিন্দারাই নয়, পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।