• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

হরিপালে উদ্ধার নাবালিকার অচৈতন্য-অর্ধনগ্ন দেহ

হরিপালের গোপীনগর এলাকায় বিডিও অফিসের কাছের এক অন্ধকার গলি থেকে অচৈতন্য এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

আরজি কর কাণ্ডের পর একমাসও কাটতে পারেনি, অথচ রাজ্যজুড়ে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা। এরকমই এক ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলি জেলার হরিপাল। পাওয়া গেল এক নাবালিকাকে অচেতন ও অর্ধনগ্ন অবস্থায়।

শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় হরিপালের গোপীনগর এলাকায় বিডিও অফিসের কাছের এক অন্ধকার গলি থেকে অচৈতন্য এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় মহিলারাই তাঁকে কাপড় পরিয়ে দেন, সেবাশুশ্রূষা করেন। নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়েছে।

পরিবারের লোকজনের থেকে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাড়ি নসিবপুরে। সিঙ্গুরের একটি স্কুলের ছাত্রী সে। স্কুলের কাছেই টিউশন ছিল তার। টিউশন শেষে বাড়ি ফেরার জন্য সিঙ্গুর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল তার। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যেতেও বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক খোঁজ চালায়। এমন সময়েই খবর পাওয়া যায়, তাকে হরিপাল এলাকা থেকে ওরকম অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছোয় বাড়ির লোক।

নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী, টিউশন থেকে ফেরবার পথে তাকে একটি সাদা চারচাকা গাড়িতে কিছু যুবক জোর করে তুলে নেয় এবং তাকে নিয়ে যায় হরিপাল থানার ১৮ নং রুটের মহাদেব কোল্ড স্টোরেজের কাছে একটি অন্ধকার জায়গায়। তার শ্লীলতাহানি করা হয়, জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন জানান, ‘নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন মহিলা পুলিশকর্মী নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছেন। ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছে। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে চন্দননগরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলা অফিসারই তদন্ত করছেন।’

তবে তিনি জানান যে নির্যাতিতা বা তাঁর মা ধর্ষণের কোনও অভিযোগ আনেননি। এফআইআর বা বয়ান কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। তবে, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ।