করােনা মহামারিতে স্বাভাবিক অনেক কর্মসূচির সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মসূচিতেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে এবার স্বাভাবিক অনেক কর্মসূচিতে ফিরে আসার প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মসুচিকে অগ্রাধিকারও দেওয়া হচেছ। আর সেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বীরভূমের রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় শনিবার ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হলাে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রােগ্রাম বা জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি। এই কর্মসূচি শুরুর আগের দু’দিন ক জাতি জঙঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বিশেষজ্ঞরা রামপুরহাটে সংশ্লিষ্ট কর্মসুচির সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থা কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিলেন।
এই প্রশিক্ষণ পর্বে টিকা সংরক্ষণ, টিকাকরণের গুণগত মান বজায় রাখা-সহ টিকা বিষয়ক অন্যান্য করনীয় বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এই প্রশিক্ষণ পর্বে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় কর্মরত ব্লক পাবলিক হেলথ নার্স – সহ টিকা সংরক্ষণের কাজে যুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই স্বাস্থ্য কর্মসূচি সম্পর্কে জানা যায় যে , সারা দেশের ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক-এর সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা। এর ফলে মােবাইলের বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে এবার সমস্ত ধরনের ভ্যাকসিনের নির্দিষ্ট তাপমাত্রা জানা যাবে।
এরফলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা ভ্যাকসিনের গুণমান ঠিক রাখতে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। যে কোনও ভ্যাকসিনের মূল বিষয়ই হলো তা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা। কারণ, টিকাগুলি যদি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগেড তাপমাত্রায় না রাখা যায় তাহলে তার কোনও কার্যকারিতা থাকে না।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে টিকাগুলি নির্দিষ্ট জেলায় পাঠানাে হয়। পরে সেগুলি কর্মসূচির আওতায় থাকা বিভিন্ন ব্লকস্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে সেখানকার ফ্রিজে মজুত রাখা হয়। সেখান থেকেই নানা ধরনের টিকা কর্মসূচি চলে।
কোনও কারণে দীর্ঘ লােডশেডিং হলে, ফ্রিজ বিকল হলে বা ফ্রিজের তাপমাত্রায় তারতম্য ঘটলে সেখানে মজুত টিকাগুলি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। এই স্বাস্থ্য জেলায় ১৫ টি কোল্ড চেন পয়েন্ট রয়েছে। সেখানেই টিকাগুলি মজুত রাখা হবে। এইসব টিকাগুলিকে বোতভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য সেই পয়েন্টের ফ্রিজগুলিতে ইলেক্ট্রনিক্স টেম্পারেচার লগার বসাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।