আলু ব্যবসা এবং বিমা বিক্রির আড়ালে জাল শংসাপত্র তৈরিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ। পাসপোর্ট কাণ্ডে হুগলির সিঙ্গুর থেকে গ্রেপ্তার দুই যুবক। শুক্রবার গভীর রাতে সিঙ্গুরের গান্ডারপুকুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম অনির্বাণ সামন্ত ও গণেশ চক্রবর্তী। তদন্তকারীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় জাল শংসাপত্র তৈরি করত তারা।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক ধৃতদের প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা। এলাকায় ‘ভালো’ ছেলে হিসেবে সুনাম রয়েছে অনির্বাণের। টিউশন পড়ানোর পাশাপাশি আলুর ব্যবসা করত সে। একই সঙ্গে অনলাইনের প্যান কার্ড তৈরির কাজও করত। অন্যদিকে, গণেশ চক্রবর্তী বিমা এজেন্টের কাজ করত। তার পরিবারের দাবি, ছেলে কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। জাল নথিপত্র বানানোর কোনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা বলতে পারেননি গণেশের মা।
পাসপোর্ট জালিয়াতিতে কয়েকদিন আগেই স্বরূপ রায় নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। জেরার সময় সিঙ্গুরের এই দুই যুবকের নাম উঠে আসে। এরপরেই সিঙ্গুরে অভিযান চালায়। শুক্রবার গভীর রাতে অনির্বাণ সামন্ত ও গণেশ চক্রবর্তী বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও জাল পাসপোর্টের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। আদালতের ধমক খাওয়ার পর থেকেই ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে লালবাজার। পাসপোর্টের পুলিশি যাচাই নিয়ে থানার ওসিদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল মনোজ ভার্মা। পাসপোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসারদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।