নিজস্ব প্রতিনিধি- বুধবার ঘটেছে দুপুরে মানিকতলার সাহিত্য পরিষদ রােডে। সেখানে একটি ব্যাটারির কারখানাতে আগুন লাগে। এই আগুনকে বাগে আনতে রীতিমতাে হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। দ্বিতীয় আগুন লাগে এদিন সন্ধ্যায় বাগবাজার বস্তিতে। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঝুপড়ি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন। সেখানকার বাসিন্দাদের বার করে আনার কাজ শুরু করে দমকলের কর্মীরা।
প্রাথমিক ভাবে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। কিন্তু কি ভাবে এত বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটল তা জানা যায়নি। প্রথামিক ভাবে দমকলের তরফ থেকে অনুমান করা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেই এই বিপত্তি ঘটেছে। এদিকে এই আগুন লাগার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশে গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হয়। অফিস ফেরত যাত্রীদের এর জন্য নাকাল হতে হয়।
দমকল সূত্রের খবর, বাগবাজার মহিলা কলেজের কাছে অবস্থিত বস্তিতে আগুন লাগে। গঙ্গার ধারে হাওয়াতে এত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হাওয়ার কারণে একের পর এক ঝুপড়িতে আগুন ধরে যায়। আগুনের তাপে একের পর এক বিকট শব্দে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটতে থাকে। দমকলের সঙ্গে এলাকাবাসীও আগুন নেভানাের কাজে হাত দেয়। সারা এলাকার বিদ্যুতের সংযােগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। আগুন নেভানোর কাজে বাগবাজার খাল থেকে জাল নেওয়া হচ্ছিল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে একটি প্রকাশনি সংস্থাতেও আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বইয়ের গুদাম। এছাড়া পাশের একটি বহুতলের একাংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। আবার বুধবার দুপুরে মানিকতলার সাহিত্য পরিষদ রােডের একটি তিনতলা বিল্ডিংয়ের দোতলা থেকে ক্রমাগত ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিমেশে তিনতলাতেও ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতাতে আগুন নেভানোর কাজ করে দমকল। জানা গিয়েছে, প্রথমে ভােজ্য তেলের গুদামে আগুন লাগে। তারপর তাে ব্যাটারি কারখানাতে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্টিসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।