পিটিয়ে মারার ঘটনায় ধৃত আরও দুজনের পুলিশি হেফাজত

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুচিপাড়া এলাকায় এক ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে ইরশাদ আলম কে পিটিয়ে মারার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ইন্দ্রজিৎ হাঁসদা ও শেখর মন্ডল কে মঙ্গলবার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয়। এদিন ধৃতদের আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৫ জন জেল হেফাজতে রয়েছেন।গত রবিবার মুচিপাড়া থানা এলাকার ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে ইরশাদ আলমকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , ধৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ হাঁসদা এবং শেখর মণ্ডল। ইন্দ্রজিতের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে। শেখর মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। গত রবিবার ভোরে প্রথমে বংশীহারি থেকে ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রবিবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ধরা হয় শেখরকে। ইন্দ্রজিৎ ও শেখর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি স্নাতকোত্তরের ছাত্র। এর আগে এই মামলায় আরও ১৫ জন অভিযুক্ত ছাত্র গ্রেফতার হয়েছেন।গত ২৭ জুন ওই ছাত্রাবাসের আবাসিক শঙ্কর বর্মণের মোবাইল চুরি যায়। ২৮ জুন বেলগাছিয়ার বাসিন্দা, ৩৭ বছরের ইরশাদ ওই ছাত্রাবাস চত্বরে কফি কিনতে গেলে মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁকে রাস্তা থেকে মারতে মারতে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই ইন্দ্রজিৎ এবং শেখর পালিয়ে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা নিজেদের মোবাইলও বন্ধ রেখেছিলেন। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুই অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ইন্দ্রজিতের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিন ইন্দ্রজিৎ এবং শেখরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত সূত্রে প্রকাশ , ইন্দ্রজিৎকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়। ব্যাংকশাল আদালতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের সরকারি আইনজীবী জানান, -‘ ধৃতেরা প্রাথমিক বয়ানে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয় ‘ । ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ইন্দ্রজিৎ এবং শেখরকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।নিহত ইরশাদ আলমের দুই সন্তান রয়েছে। প্রবল আর্থিক কষ্টে আছে এই পরিবার ।