এক তরুণীর পেট থেকে উদ্ধার হল প্রায় দু-কেজি গয়না, কয়েন সহ অন্যান্য সামগ্রী। মৃত্যুর পর সঙ্গে না নিয়ে যেতে পারার আক্ষেপে তা খেয়ে নিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণী। বুধবার রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা তার পাকস্থলীর মধ্যে থেকে বের করলেন একের পর এক গয়না, কয়েন, হাতঘড়ি, পুঁথি, পাথর থেকে শুরু করে লকেটও। সবমিলিয়ে যার ওজন কেজি দুয়েক।
জানা গেছে, হাসপাতালের সার্জন সিদ্ধার্থ বিশ্বাসের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল এদিন ওই তরুণীর অস্ত্রোপচার করে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল। দিন সাতেক আগে পেটে ব্যথা ও বমি ভাব নিয়ে সিদ্ধার্থবাবুর কাছে এসেছিলেন মাড়গ্রামের কানাইপুরের বাসিন্দা রুনি খাতুন নামে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী।
এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান রিপাের্ট দেখে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন যে তার পাকস্থলীতে ধাতব কিছু জমে আছে। ধাতব জিনিসের ওজন এতটাই বেশি ছিল যে তার ভারে পেট ঝুলে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবার অস্ত্রোপচার করা হয়।
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের চক্ষুচড়ক গাছ। ওই তরুণী নাকি খিদে পেলে গয়না খেয়ে নিতেন। মােট নব্বইটি দশ টাকার কয়েনও পাওয়া যায় তার পেটে। এ ছাড়াও বেশ কিছু দু’টাকা ও পাঁচ টাকার কয়েনও ছিল। ষাটটি রুপাের কয়েনও পাওয়া যায় পেটে।
এছাড়াও পুঁথি, পাথর, লকেট, ঘড়ির বেল্ট ও আস্ত একটি হাতঘড়িও উদ্ধার হয়েছে তরুণীর পেট থেকে। প্রায় এক ঘণ্টা পনেরাে মিনিট ধরে ওই অস্ত্রোপচার করা হয়। সবমিলিয়ে তরুণীর পেটের ভিতর থেকে এক কেজি ছশাে আশি গ্রাম ধাতব সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তবে যে গয়নাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে , তার মধ্যে অধিকাংশই তামা বা ইমিটেশনের। কিছু সােনার গয়নাও রয়েছে।