মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ দুই বিজেপি বিধায়কের, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (File Photo: IANS)

আর কয়েকদিন বাদেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলবদল নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতেই কি এবার বদলাতে চলেছে রাজনৈতিক সমীকরণ? এবার কি বিজেপি ঘুরে ফের তৃণমূলে আসতে চলেছেন নােয়াপাড়া এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক? 

সােমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁদের আলােচনা নিয়েই তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা। একসময় তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন সুনীল সিং এবং বিশ্বজিৎ দাস। সুনীল সিং ছিলেন নােয়াপাড়ার এবং বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তারপর গেরুয়া শিবিরে যােগ দেন তাঁরা। 

তবে সােমবার বিধানসভার অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে অন্য ছবি দেখা গেল। সােমবার সকালে বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তারপর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান দুই বিজেপি বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক। প্রায় ২০ মিনিট কথা হয় তাঁদের। 


সাক্ষাতের পর স্বাভাবিকভাবেই ওই দুই বিধায়কের ফের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি ছেড়ে কি ফের শাসলের ঘরে ফিরতে চলেছেন সুনীল সিং এবং বিশ্বজিৎ দাস। 

যদিও বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যােগদানের জল্পনা কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন দুই বিধায়কই। তাঁদের দাবি, উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘােষণা হবে। লাগু হবে নির্বাচনী বিধি। সেই সময় কোনও উন্নয়নমূলক কাজই হবে না। সেক্ষেত্রে কেন তাঁরা এই সময়ে উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেন, স্বাভাকিভাবে সেই প্রশ্নও উঠছে। 

যদিও উত্তর পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দলবদলের জল্পনা পুরােপুরি উড়িয়ে দেননি। সুনীল সিংয়ের দলে ফেরা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ফ্রিহাদ হাকিম নিতে পারেন বলেই জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন জ্যোতিপ্রিয়।