প্রথমে শীতলকুচি, তারপর নন্দীগ্রাম ভােট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে আবারও জেলা সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উত্তরবঙ্গের পরে আজ শনিবার নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
নিজেই টুইটে সেকথা জানালেন তিনি। রাজ্যে ভােট পরবর্তী হিংসায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযােগ উঠছে। তা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরােধী দল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর শপথের দিনে থেকেই বিজেপির পাশাপাশি রাজ্যপালও সরব হয়েছেন একই ইস্যুতে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আবেগতাড়িত হয়ে রাজ্যপালকে চোখ তেও দেখা যায়। উত্তরবঙ্গের পরে এবার দক্ষিণবঙ্গের নন্দীগ্রামে যেতে চান রাজ্যপাল।
শুক্রবার নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন সেকথা। আজ শনিবার নন্দীগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সকাল ৯-১৫ মিনিটে সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রারে মাটিতে নামবেন তিনি। নন্দীগ্রামের জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন আজই কলকাতায় ফিরবেন রাজ্যপাল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় হেভিওয়েট লড়াইয়ের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম।
ভােটের ফল প্রকাশের পরে গত সপ্তাহেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নন্দীগ্রামে বিজেপির জয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এখনও বিজেপির অনেক কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া বলে দাবি করেছেন শুভেন্দুবাবু।
এরপরই রাজ্যপাল নন্দীগ্রাম সফরের পরিকল্পনা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে দ্বৈরথ সৃষ্টি হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, সরকারিভাবে রাজ্যকে না জানিয়েই জেলা সফরে বেরিয়ে পড়ছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের সফরের সময়ে জেলা প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ফলে এই অতিমারীর সময়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু তার উত্তরে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই তিনি অশান্ত এলাকায় যাচ্ছেন।
এদিকে রাজ্যপালের নন্দীগ্রাম সফর নিয়ে ফের সর্ব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে তৃণমূল কর্মীরা খুন হচ্ছেন, সেখানে কেন রাজ্যপাল যাচ্ছেন না। রাজ্যপালকে ‘টুইট ধনকড়’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘােষ।
অতিমারীর সময়ে রাজ্যের অক্সিজেন, ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে কোনও টুইট না করে শুধুমাত্র ভােট ইস্যু নিয়ে টুইট করায় সমালােচনার শিকার হচ্ছেন রাজ্যপাল।