করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কমলেই পশ্চিমবঙ্গে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে বকেয়া উপনির্বাচন করা হােক। পাশাপাশি রাজ্যসভায় যে কটি আসন খালি রয়েছে সেগুলির ভােটও সম্পন্ন করা হােক। এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারি মাসে। আর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভােটের আগে পদত্যাগ করেন মানস ভুইয়া। পশ্চিমবঙ্গ থেকে খালি হওয়া এই দুটি রাজ্যসভার আসনে নতুন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কথা।
এইভাবে তামিলনাডর ৪ টি রাজ্যসভার আসন খালি রয়েছে। এই দুরাজ্যেই রাজ্যসভার ভোট হলে বিজেপি-বিরােধী দলের প্রার্থীদেরই জিতে আসার কথা।
বিরােধী শিবিরের একাংশ বলছে, এ কারণেই ভােট করাতে গড়িমসি করছে শাসক দল। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যসভার ভােট আমজনতার নয়। ভােট দেবেন বিধায়করাই এবং তা হবে বিধানসভা ভবনের ভিতর। ফলে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে নির্বাচন করতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দরকার হলে দু’দফায় তা করানাে যেতে পারে।
এ বিষয়ে তৃনমূলের রাজ্যসভার মুখসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যসভার ভােট করতে হবে। করােনা পরিস্থিতির এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর একটু ভালাে হলেই ভােট-পর্ব সেরে ফেলা ভালো।’