• facebook
  • twitter
Saturday, 22 March, 2025

সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে সংসদে সোচ্চার তৃণমূল

রাজ্যসভায় সাকেত বলেছিলেন, যে কোনও ক্ষেত্রেই তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অথচ কোনও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

ফাইল চিত্র

সিবিআই মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। সিবিআই ছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলার সুরাহা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি, ‘স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনেই নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।’

রাজ্যসভায় সাকেত বলেছিলেন, যে কোনও ক্ষেত্রেই তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অথচ কোনও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার গোখলে অভিযোগ করেন, রাজ্যগুলি যেন কেন্দ্রের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিদের মিথ্যে মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। যে কারণে রাজ্যে সিবিআই এবং অন্যান্য এজেন্সির জমে থাকা মামলার পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৯০০টি। আরজি কর, সন্দেশখালি-সহ রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গোখলের এই আক্রমণের জবাবে শাহ বলেন, সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি আদৌ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে নেই। এসব মিথ্যে অভিযোগ শুধুমাত্র তর্ক করার জন্য। এর পরেই তিনি বলেন, ‘যে মামলাগুলির কথা বলা হচ্ছে তা দুর্নীতির তদন্তের জন্য নয়। ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় উচ্চ আদালত এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে। ভোট পরিস্থিতিতে বহু মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। একাধিক ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিত নির্যাতিতারা। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’

ভোট সামনে এলেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হয় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়শই এই অভিযোগ করে থাকেন বিরোধীরা।

সেই কারণে সিবিআই বা অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে থাকা মামলাগুলির বেশিরভাগেরই নিষ্পত্তি হয় না বলেও অভিযোগ তৃণমূল-সহ বিরোধীদের। বুধবার এ প্রসঙ্গে সংসদে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে বিজেপির ‘জমিদারী’ নিয়েও প্রশ্নে তোলেন।

এর জবাবে শাহ-র দাবি, রাজ্যের অসহযোগিতার কারণেই বাংলায় সিবিআই বা অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকাংশ মামলার সুরাহা হয় না। কারণ, বাংলায় একটাও বিশেষ সিবিআই আদালত নেই। তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা আদালত মানে না। কারা জমিদারি চালাচ্ছে তা সারা দেশ দেখছে।’ এরপরই তুমুল হৈ হট্টগোল শুরু হয়ে যায় রাজ্যসভায়।

তর্কের সময় শাহ-র উদ্দেশে সাকেত বলেছিলেন, ‘আপনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন।’ শাহ জবাব দেন, ‘আমি কারও দয়ায় এখানে আসিনি। কোনও মতাদর্শের বিরোধিতা করতে এখানে ঢুকে পড়িনি। সাত বার জয়ী হয়ে এখানে এসে পৌঁছেছি।’

News Hub