• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি! ভাইরাল ছবি ঘিরে বিতর্ক

হাতে বন্দুক নিয়ে চেয়ারে বসে রয়েছেন মহিলা। ইনি অবশ্য যে সে মহিলা নন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নাম মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি (Photo: SNS)

হাতে বন্দুক নিয়ে চেয়ারে বসে রয়েছেন মহিলা। ইনি অবশ্য যে সে মহিলা নন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। নাম মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মালদহের এই নেত্রীর ছবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে দপ্তরের মধ্যে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কেন বসেছিলেন নেত্রী?

এই প্রশ্ন ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তা, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত হবে। আর বিজেপির কটাক্ষ, সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র রাখাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি ওল্ড মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদহ মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী।

নিজের দপ্তরেই বন্দুক হাতে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে মৃণালিনী দেবীর দাবি, ছবিটি পুরনো, প্রায় বছর খানেক আগেকার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এখন নতুন করে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

তবে তাঁর এই বক্তব্য মানতে নারাজ অনেকেই। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলের বক্তব্য, ১১ বছরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মালদহকেও স্তূপে দাঁড় করিয়েছে শাসকদল। ওদের অফিসে এটাই কালচার। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোমা পাওয়া যাবে, খুঁজলে একে -৪৭ পাওয়া যেতে পারে। এটা ওদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেলা করাটা ঠিক নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি খেলনা নাকি আসল সেটা পুলিশ অনুসন্ধান করে বলবে। তবে আমি যেটা ছবিতে দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে, এটা অরিজিনাল আগ্নেয়াস্ত্র। জনগণের কাছে এর ফলে দলের ভাবমূর্তিই নষ্ট হচ্ছে।