• facebook
  • twitter
Wednesday, 1 January, 2025

বহরমপুরে তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

দলীয় কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফেরার পথে হামলার মুখে পড়লেন বহরমপুর সদর যুব তৃণমূলের সভাপতি পাপাই ঘোষ। কোনক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।

ফাইল ছবি

তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, তুমুল চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে। দলীয় কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফেরার পথে হামলার মুখে পড়লেন বহরমপুর সদর যুব তৃণমূলের সভাপতি পাপাই ঘোষ। কোনক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। এই ঘটনায় বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধী দলের নেতারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ পৌঁছেছিল। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন বহরমপুর সদর যুব তৃণমূলের সভাপতি পাপাই ঘোষ। এক সঙ্গী ছিলেন তাঁর সঙ্গে। বহরমপুরের সৈদাবাদ এলাকায় রিং রোডে গাড়ি পৌঁছতেই এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। গাড়িটির পিছনের কাচে গুলি লাগে। তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গী মাথা নীচু করে বসেছিলেন বলে রক্ষা পেয়েছেন। এরপর গাড়িচালকের তৎপরতার দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

তৃণমূল যুবনেতার দাবি, পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অন্ধকার থাকায় অভিযুক্তদের কাউকেই তাঁরা দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল যুবনেতা। তাঁর কথা, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আর ছিলেন গাড়িচালক। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলে দাবি পাপাইয়ের।

কী উদ্দেশ্য হামলা চালানো হল, তা এখন স্পষ্ট নয়। এই হামলার ঘটনায় তৃণমূল নেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে হামলা চালানো হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।