• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

পুরভোটের জয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল: পার্থ

কলকাতা পুরভোটে বড় ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস স্পষ্ট হতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল মহাসচিব। এবার শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।

জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদেরকে বিকশিত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর কলকাতা পুরভোটে বিপুল জয় আগামীতে তৃণমূলের শ্রীবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে উঠবে, এমনটাই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা।

এদিন তারই আভাস পাওয়া গেল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এই জয় অনেকটাই এগিয়ে দেবে তৃণমূলকে।

এই প্রসঙ্গে তার দাবি, বিজেপি , কংগ্রেস ও সিপিএম একত্রে তাদের বিরুদ্ধে লড়েও পর্যুদস্ত হয়েছে।

কলকাতা পুরভোটে বড় ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস স্পষ্ট হতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল মহাসচিব। এবার শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। তাদের পিছনে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

যদিও সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ নিয়ে কটাক্ষ করেন, ‘এই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হওয়ার কোনও মানে হয় না। বাকিরা যোজন যোজন দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে।’

তৃণমূল মহাসচিব যোগ করেন, ‘সিপিএমের অপদার্থতা, কংগ্রেসের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে তারা (বিজেপি) যতটুকু পেরেছে নিয়েছে। আজ তৃণমূল মাঠে নেমে গণতান্ত্রিক লড়াই করেছে।

বিরোধীদের ভোটে কারচুপির অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে পার্থের বক্রোক্তি, ‘ওরা হাইকোর্টে গিয়েছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য, রাজ্য নির্বাচনে কমিশনে গিয়ে বসে পড়েছে ছবি তোলার জন্য, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। শুধু যেটা যায়নি, সেটা মানুষের দরবারে।

পার্থ আরও যোগ করেন, ‘কলকাতা পুরভোটের এই জয় জাতীয় রাজনীতির পক্ষেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে যারা লড়াই করেছে, প্রায় সবাই জাতীয় রাজনৈতিক দল এবং তারা সকলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।’

‘ তিনি এও যোগ করেন, ‘প্রায় তিন বন্ধু একত্রে লড়াই করেছে। তিনটেই জাতীয় দল। তৃণমূল শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করেছে। আর তাতে কলকাতার মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে তৃণমূলকে। বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল যাচ্ছে। এই ফল সেখানে সাহায্য করবে।’

এদিকে বিজেপির কটাক্ষ, এবার কলকাতা পুরভোেট হয়নি। ভোটের মতো কিছু একটা হয়েছে।

নির্বাচনকে প্রহসন এবং তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের ভুয়ো কাউন্সিলর বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আবার তিনি এও অভিযোগ করেন তৃণমূলই সিপিএমকে দ্বিতীয় করতে সাহায্য করেছে।