• facebook
  • twitter
Sunday, 20 October, 2024

নারী সুরক্ষার দাবিতে জোড়া সমাবেশের ডাক বিজেপির, পাল্টা তৃণমূলের

এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘বাংলায় আইনের শাসন নেই। যে কারণে রাজ্যের কোনও না কোনও এলাকায় প্রতিদিনই নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতেই এই ধরনের সমাবেশের আয়োজন।

বাংলায় মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। আরজি কর কাণ্ডের আবহে বার বারই এই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এবার নারী সুরক্ষার দাবিতে ফের পথে নামছে বিজেপি। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। বাংলায়, বিশেষ করে কলকাতায় মহিলারা সবথেকে বেশি সুরক্ষিত। দাবি ঘাসফুল শিবিরের।

৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় পড়ুয়া চিকিৎসকের নিথর দেহ। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ-খুনের। বিচারের দাবিতে সেই থেকেই রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। ডাক্তারদের অনশনের পাশাপাশি দিকে দিকে প্রতিবাদে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও। বিজেপির তরফেও এর আগে একাধিকবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার ফের একবার নারী সুরক্ষার দাবিতে সমাবেশের ডাক বিজেপির।
সোমবার জোড়া সমাবেশের ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির। একটি সমাবেশ হবে পুরুলিয়ায়। অন্যটি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। একটি সমাবেশে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। অন্য সমাবেশে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, সম্প্রতি পুরুলিয়া এবং উলুবেড়িয়া এই দুই এলাকাতেই নারী নিগ্রহের বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। পুরুলিয়ায় রক্তাক্ত অবস্থায় নদীর চর থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। কৃ্ষ্ণনগরে এসপি অফিসের অদূরে তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাই এই সমাবেশের পথে হাঁটছে বঙ্গ বিজেপি। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘বাংলায় আইনের শাসন নেই। যে কারণে রাজ্যের কোনও না কোনও এলাকায় প্রতিদিনই নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতেই এই ধরনের সমাবেশের আয়োজন।’
বিজেপির সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি মনে করেন, গোটা ভারতের মধ্যে বাংলাতেই মহিলারা সবথেকে সুরক্ষিত। বিশেষ করে কলকাতা মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত জায়গা। শুধু তাই নয়, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র মণিপুর, দিল্লিতে একের পর নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে কুণাল বলেন, সেখানে ন্যায়বিচারের কোনও প্রশ্ন নেই। বাম জমানাতেও বাংলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আরজি কর ইস্যুকে সামনে রেখে মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে বিরোধীরা।