শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তদন্তে গতি আনার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
এই একই আর্জি জানাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুভেন্দু অধিকারী যখন অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় কলকাতাতে ইডি’র তল্লাশি শুরু হয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে।
এদিন সাতটি ইডি’র টিম বিভিন্নভাগে ভাগ হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। এদিন পাটুলিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি নেল আর্ট পার্লার সিল করে ইডি।
যে পার্লারটি ইডি সিল করে সেই পার্লারটি একটি বহুতলের অংশ। এই বহুতলের মালিককে ম্যারাথন জেরা করে ইডি।
১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকে (ডাবলি) ইডি’র আধিকারিকরা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘণ্টা তিনেক ইডি’র আধিকারিকরা এই নেল আর্ট পার্লারে ছিলেন।
এই পার্লারের মালিক পার্থঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডি’র তরফে জানতে চাওয়া হয় এই পার্লার কেনার ক্ষেত্রে কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস কী ধরনের সহায়তা করেছিলেন অর্পিতাকে?
প্রসেনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডি’র আধিকারিকরা এই পার্লারের তল্লাশি চালান। তল্লাশি শেষ করে বেরোনোর সময় ইডি’র আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু নথিপত্র দেখা যায়, যেগুলি তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন।
যাওয়ার সময় দোকানের শাটার নামিয় তার উপর একটি নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে পার্লারটি সিল করার কথা লেখা রয়েছে।