• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

মহিলা পুরকর্মীকে কুপ্রস্তাব! কাঠগড়ায় চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার

এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। সেখানে লেখা, 'চুঁচুড়ার বিধায়ক দূর হটো, চুঁচুড়া নারীদের সম্মান বাঁচাও।'

মহিলা পুরকর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন দলেরই এক মহিলা কর্মী। অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে তিনি নারীদের প্রতি অসম্মান ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ এনেছেন।

অভিযোগকারী মহিলা জানিয়েছেন, তিনি পুরসভার কর্মী হলেও দীর্ঘদিন বিধায়কের বাড়িতে তাঁর গৃহস্থালির কাজ করতেন। সম্প্রতি বিধায়ক তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন এবং সেই কুপ্রস্তাবে ওই মহিলা রাজি না হওয়ায় তাঁকে চোর অপবাদ দেওয়া হয়।

সংবাদমাধ্যমকে অভিযোগকারী মহিলা বলেন, বিধায়কের কুস্তাবের রাজি না হওয়ায় আমাকে চোর অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আসল ঘটনা বিধায়কও জানেন। আমি পুরসভার কর্মী। তবে বিধায়ক আমাকে সেখানে না রেখে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এখানে বিধায়কের নানারকম কাজ ছাড়াও কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর কাজ করতাম। ওঁনার বাড়ির কাজও করেছি।

মহিলার দাবি, শুধু তিনি একা নন, তাঁর স্বামীও বিধায়কের লেখালেখির কাজ করে দিতেন। বিধায়ক অন্যান্য মহিলাদেরও অশালীন মন্তব্য করে মেসেজ করতেন, ভিডিও কল করতেন। সেই সমস্ত প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু এতদিন ভয়ে তাঁরা কেউ কিছু বলতে পারেননি।

অভিযোগকারী মহিলার কথায়, উনি এখন ধিক্কার মিছিল করছেন শহরে, কিন্তু উনিই তো মহিলাদের সম্মান দিতে জানেন না।

এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। সেখানে লেখা, ‘চুঁচুড়ার বিধায়ক দূর হটো, চুঁচুড়া নারীদের সম্মান বাঁচাও।’

এই ঘটনার বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন হুগলির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পৌরসভার কর্মীকে বাড়িতে রেখে কাজ করাতেন চুঁচুড়া বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক অসিতবাবু। বাড়িতেই পৌরসভার রেজিস্টার সই, বাড়িতেই মাইনে। এমন আর কত মহিলার সঙ্গে আপনি সেফ সাইড করতেন বিধায়কবাবু? আপনি আবার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হাস্যকর ! রক্ষক যে নিজেই ধর্ষক এটাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড।’

এই অভিযোগের বিষয়ে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র বলেন, বিষয়টি জানা নেই। প্রমাণ ছাড়া কিছু বলতে পারি না। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। কী অভিযোগ আছে সব শুনব।