বিধানসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে যাতে করা সম্ভব হয় তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রয়েছে কলকাতায়। দফায় দফায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরােরা বৈঠক করছেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যজুড়ে চলছে নির্বাচনী প্রচার। এমনই এক আবহে দক্ষিণ কলকাতার ৮৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৭৮ টি ওয়ার্ডের যুব সভাপতির নাম ঘােষণা করল শাসক দল।
দক্ষিণ কলকাতা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য দাশণ্ডপ্ত জানান, আগামীর কথা মাথায় রেখে তৃণমূল সুপ্রিমাে তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমােদনক্রমে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার বকটি ওয়ার্ডের যুব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। সেই সময়ই দ্রুত ওয়ার্ড যুব সভাপতির নাম ঘােষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ছ’মাস পর ওয়ার্ড যুব সভাপতিদের নাম ঘােষণা করা হল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এবার যাঁরা যুব সভাপতি হলেন তাদের প্রত্যেকের বয়স ৪০-এর নিচে।
এর আগে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন যুব সভাপতির বয়স ৫০-এর উর্ধ্বে ছিল। এই নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্কও দানা বাঁধে। এবার রীতিমত বয়সের প্রমাণপত্র দিতে হয়েছে ওয়ার্ডের যুব সভাপতিদের। ৪০-এর সামান্য, উর্ধ্বে বয়স হওয়ার কারণে দলের ভালো সংগঠক হওয়া সত্ত্বেও যুব সভাপতি হতে পারেননি, এমনটাও জানা গিয়েছে।
তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় তৃণমূল। সেকারণেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার যে ছ’টি ওয়ার্ডের যুব সভাপতি এখনও ঘােষণা করা হয়নি সেগুলিও খুব দ্রুত ঘােষণা হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। রাসবিহারী বিধানসভার তিনটি ওয়ার্ড, বেহালা পূর্ব, পশ্চিম এবং কসবার একটি করে ওয়ার্ডে যুব সভাপতির নাম এদিন দলের তরফে প্রকাশ করা হয়নি।
একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় যুব-র উদ্যোগে। অধিকাংশ মিটিং-মিছিল এবং সমাবেশের দায়িত্বে থাকে যুবরা । সেই যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হল। প্রশান্ত কিশাের তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। তার টিমেরও লক্ষ্য তরুণদের আরও বেশি করে রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে আসা। তারই অঙ্গ হিসেবে তৃণমূলের যুব সংগঠনে ও তারুণ্যের জোয়ার আনা বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতুড়ঘর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে আগামী দিনে এই যুব নেতাদের ওপর নির্ভর করেই বিধানসভা নির্বাচনে কাপাবে তৃণমূল, একথা হলফ করে বলাই যায়।