সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (ছবি: টুইটার | @MahuaMoitra)

শাসক দলের গােষ্ঠী কোন্দলের ছবি এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের দুই গােষ্ঠীর মধ্যে দেখা গেল বিক্ষোভ, হাতাহাতি। এমন কি সাংসদ তথা নদিয়া জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের একাংশের। আর সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়েই শুরু হয় তৃণমূলের দুই গােষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি।

রবিবার নদিয়ার গয়েশপুরে কল্যাণী বিধানসভার কয়েকটি জায়গায় বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন মহুয়া মৈত্র। গয়েশপুরের সুকান্ত সদনেও ছিল বৈঠক। সাংসদ তথা জেলা সভাপতি সুকান্ত সদনে পৌছানাে মাত্রই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমুলের প্রাক্তন সভাপতি মিন্টু দে। বিক্ষোভকারীদের হাতে বেশ কিছু। প্ল্যাার্ডও দেখা যায়। তাতে লেখা ছিল, বহিরাগত শহর সভাপতিকে মানছি না মানব না। যদিও এই বিক্ষোভকে গুরুত্ব না দিয়েই মহুয়া মৈত্র বলেন, সবাই কে নিয়ে কাজ করতে গেলে মাঝে মাঝেই এমন হয়ে থাকে। সেগুলাে সামলে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। বিক্ষোভের ফলে মিটিং এর কোনাে সমস্যা হয়নি সুষ্ঠ ভাবেই সব মিটেছে।

এই ঘটনার পরই গয়েশপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপারসন মরণ কুমার দের উক্তি , এটা কোনাে বিক্ষোভ নয় কর্মীদের কিছু আগে ছিলাে। তারা দল নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। এটা আমাদের দলের ভেতরের ব্যাপার আমরা। নিজেরাই মিটিয়ে নিয়েছি। তাছাড়াও জেলা সভাপতিকে বহিরাগত বলার। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি কল্যাণীর বাসিন্দা নয় । তাই বহিরাগত বলা হয়েছে। বহিরাগত কে বহিরাগতই তাে বলবে।


যদিও প্রকাশ্যে এই গােষ্ঠীদ্বন্দের কথা স্বীকার করে তৃণমূলের বর্তমান শহর সভাপতি সুকান্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, এই বিক্ষোভ দলের ক্ষতি। কিছু লােক ইচ্ছে করেই দলকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে।

পাশাপাশি এদিন ওই কর্মী বৈঠকে ঢােকার আগে গােষ্ঠমন্দু নিয়ন্ত্রণে আনার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বেফাঁস মন্তব্য করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, দু’পয়সার সাংবাদিকদের কেন ডানে আপনারা। এই বক্তব্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংবাদিকরা। যদিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রানাঘাট লােকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, একজন সাংসদের নিতি মেনে চলা উচিত। এই ভাবে সাংবাদিকদের সাথে আচরণ নিজের দলের লােকেদের সাথে গন্ডগোল এলি বিক্ষিপ আচরণের প্রকাশ।