• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে মহাসমারোহে আদিবাসী মেলা বর্ধমানের পাঁচড়া গ্রামে

আজ এই মেলায় সেই কারণে পুরো ব্লক অফিস তুলে নিয়ে এসেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের স্টল হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যাঁরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাননি তাঁরা স্টলে গিয়ে সেই সুযোগ সুবিধাগুলি নেবেন। আধিকারিকরা আছেন সাহায্য করার জন্য।

আদিবাসী মেলা উপলক্ষে শোভাযাত্রা। নিজস্ব চিত্র

সারা রাজ্য জুড়ে ২০ ও ২১ নভেম্বর চলছে আদিবাসী মেলা। এই বছর বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে আদিবাসী প্রধান অঞ্চলে চলছে নানা কর্মসূচি। আর সে উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচড়াতে দু’দিন ধরে আদিবাসী মেলা অনুষ্ঠিত হয় । বৃহস্পতিবার ওই আদিবাসী মেলা শেষ হলো। তার আগে আদিবাসী নিয়ম মেনে পূজাপাঠ করা হয়। ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিডিও পার্থসারথি দে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান।

আজকের এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, জয়েন্ট বিডিও রুদ্রেন্দু নন্দী, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, কৃষি আধিকারিক কাজী সঞ্জিবুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন মাজিবাবা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তারক টুডু, দেবু হেমব্রম, রবিন মান্ডি, লালু হেমব্রমরা ছিলেন। আদিবাসী ভাষায় উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান আদিবাসীদের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আদিবাসী সমাজের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। আজ এই মেলায় সেই কারণে পুরো ব্লক অফিস তুলে নিয়ে এসেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের স্টল হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যাঁরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাননি তাঁরা স্টলে গিয়ে সেই সুযোগ সুবিধাগুলি নেবেন। আধিকারিকরা আছেন সাহায্য করার জন্য। বিডিও পার্থসারথি দে বলেন, জাতিগত শংসাপত্রের জন্য যাঁদের সমস্যা আছে তাঁরা যেন দ্রুত ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন।

এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে। মেলায় প্রথম দিন চার দলীয় পুরুষ ও মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা করা হয়। এছাড়াও দু’দিনের এই অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মঞ্চ থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষের হাতে ধামসা মাদল, কৃষি সরঞ্জাম, ছাত্রছাত্রীদের হাতে জাতিগত শংসাপত্র, সাইকেল, জুতো সহ বিভিন্ন জিনিস তুলে দেওয়া হবে। মেলায় স্থানীয় কয়েক হাজার আদিবাসী মানুষ উপস্থিত হন।