• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

জয় রাইড হিসাবে কলকাতার একটি রুটেই চলবে ট্রাম, হাইকোর্টকে জানাবে পরিবহণ দফতর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরে ট্রাম পরিষেবা চালু রাখার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই একটি রুটের কথা জানাতে চলেছে পরিবহণ দফতর। এই মুহূর্তে মাত্র তিনটি রুটে যাত্রীরা ট্রাম পরিষেবা পান। টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট-ধর্মতলা এবং ধর্মতলা-শ্যামবাজার। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরে ট্রাম পরিষেবা চালু রাখার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই একটি রুটের কথা জানাতে চলেছে পরিবহণ দফতর। এই মুহূর্তে মাত্র তিনটি রুটে যাত্রীরা ট্রাম পরিষেবা পান। টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট-ধর্মতলা এবং ধর্মতলা-শ্যামবাজার। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসপ্ল্যানেড থেকে খিদিরপুরের মধ্যে যে লাইনটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, সেই লাইনটিকেই ফের চালু করতে চাইছে পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, ওই লাইনটিকে সঙ্কুচিত করে, জয় রাইড হিসাবে কলকাতায় ট্রাম চালাতে চায় পরিবহণ দফতর।

কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, শহরের জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তা অনেক কম। প্রতিদিন যান নিয়ন্ত্রণ করতে কালঘাম ছুটে যায় কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের। তাই ট্রাম তুলে দিয়ে শহরকে আরও গতিশীল করে তোলার দাবি দীর্ঘদিনের। কলকাতা প্রশাসনের এই দাবি মেনে এতদিনে সেটাই হতে চলেছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। এসপ্ল্যানেড থেকে খিদিরপুরের মধ্যে চলাচলকারী ট্রাম পরিষেবাটি দীর্ঘকাল ধরে বন্ধ। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ওই রুটে ট্রাম চলাচল করার জন্য তৈরি পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। সেই থেকে ওই রুটটি পুরোপুরি বন্ধ। কলকাতা শহরে অন্য রুটগুলি থেকে ট্রাম তুলে দিয়ে আপাতত এই একটি রুটের উপরেই মনোনিবেশ করতে চায় পরিবহণ দফতর। ট্রামের মতো পরিবেশ বান্ধব ও দূষণহীন যান শহর থেকে তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় ক্যালকাটা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সাগ্নিক গুপ্ত বলেন, “পৃথিবীর ৪৩০টি দেশে নতুন করে ট্রাম পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। কারণ, এত কম খরচে পরিবেশবান্ধব ও দূষণহীন যান মেলা সম্ভব নয়। অথচ আমাদের রাজ্য সরকার ট্রাম পরিষেবাটাই তুলে দিতে চাইছে। বলা হচ্ছে, মন্থর গতির ট্রাম শহরের ট্র্যাফিক জ্যামের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটি ট্রামের দু’টি কামরা ১২০ জন মানুষকে পরিবহণ পরিষেবা দিতে পারে। অথচ সেই ট্রাম তুলে দিয়ে কুড়িটি অটো রাস্তায় নামিয়ে ১২০ জন মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একটি ট্রাম রাস্তায় বেশি যানজট করে, নাকি কুড়িটি অটো তার চেয়ে বেশি যানজট করে? এমন প্রশ্ন প্রশাসন না বুঝুক, কলকাতার বাসিন্দারা নিশ্চয়ই জানেন।”