• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে বিষাক্ত গ্যাস লিক, অসুস্থ ৫ শ্রমিক

দুর্গাপুর, ২০ এপ্রিল: দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে একের পর এক বিপদ লেগেই আছে। এবার এই প্লান্টের বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক। প্লান্টের একটি ব্লাস্ট ফার্নেস থেকে এই গ্যাস নির্গত হয়। গতকাল রাতের এই ঘটনায় অসুস্থ শ্রমিকদের সকলকে চিকিৎসার জন্য ডিএসপি-র মেইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই সময় প্লান্টে কর্মরত ছিলেন একাধিক কর্মী। গ্যাস বেরোচ্ছে

দুর্গাপুর, ২০ এপ্রিল: দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে একের পর এক বিপদ লেগেই আছে। এবার এই প্লান্টের বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক। প্লান্টের একটি ব্লাস্ট ফার্নেস থেকে এই গ্যাস নির্গত হয়। গতকাল রাতের এই ঘটনায় অসুস্থ শ্রমিকদের সকলকে চিকিৎসার জন্য ডিএসপি-র মেইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই সময় প্লান্টে কর্মরত ছিলেন একাধিক কর্মী। গ্যাস বেরোচ্ছে বুঝতে পেরে সতর্ক হয়ে যান বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁরা নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলেও বেশ কয়েকজন সেই মারণ গ্যাসের কবল থেকে রেহাই পাননি। পাঁচজন কর্মীর শরীরে ওই বিষাক্ত গ্যাস বিপদজনক মাত্রায় প্রবেশ করতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে দুইজন স্থায়ী ও তিনজন অস্থায়ী শ্রমিক বলে স্টিল প্লান্ট সূত্রে জানা গিয়েছে।

অসুস্থ শ্রমিকদের নাম সুনীল হাজরা, পরিমল মণ্ডল, নুর আলম জামাদার, বিকাশ কাবাড়ি এবং টোটন খাওয়াল। সুনীল হাজরা এবং পরিমল মণ্ডল নামের দুই স্থায়ী শ্রমিক ছাড়াও বাকি তিন ঠিকাকর্মী কার্বন মনোক্সাইডের জেরে অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আইএনটিটি ইউসি নেতা স্নেহাশিস ঘোষ জানান, অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে তিন জনকে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভরতি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন শ্রমিক সুনীল হাজরা বলেন, “হঠাৎ করে মনিটরে আমরা দেখি গ্যাসের মাত্রা বেশি। আমরা একটু অসুস্থবোধ করছিলাম। আমাদেরকে জল খেতে বলা হয়। কিন্তু তারপরে হঠাৎ গ্যাসের মাত্রা এত বেশি হয়ে যায়, আমরা সকলেই ঝিমিয়ে পড়ি। এরপরেই তড়িঘড়ি আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।”

প্রসঙ্গত দুই বছর আগেও দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। সেবার কারখানার বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস লিক করে। সেই ঘটনায় তিন জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বারবার দুর্ঘটনা ঘটায় কারখানায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। প্রশ্ন উঠছে কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। শ্রমিক ও কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।