ক্রিস্টমাসের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল বঙ্গবাসী। বড়দিনের সাজে সেজে উঠেছিল গোটা নদিয়া। নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন পর্যটকরা। রূপ বদলে নববর্ষের প্রহর গুনতে শুরু করে দিয়েছে চার্চগুলি। এদিকে উৎসবের শহরে নিরাপত্তায় পুরোদমে জোর দিয়েছে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বড়দিনে রাতে কল্যাণী শহরে ছিল নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো। গুরত্বপূর্ণ মোড়, গঙ্গার ঘাট, পিকনিক স্পটগুলিতে ছিল পুলিশের বিশেষ নজরদারি। কল্যাণী শহরে বড়দিনে পিকনিক স্পট, গঙ্গার ঘাটে ভিড় জমান দূরদূরান্তের মানুষজন। কেউ আসেন পিকনিক করতে কেউ বা ঘুরতে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর অঞ্চলে রয়েছে গির্জা। সেখানেও সকাল থেকে উপচে পড়েছিল ভিড়। দূর দুরান্তের পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছিলেন নদিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলিতে। সেখানেও পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। বড়দিনে কল্যাণী সহ নদিয়ার বিভিন্ন পিকনিক স্পটেও উপচে পড়েছিল ভিড়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরাতেও নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ।
চৈতন্যভূমি নবদ্বীপ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র মায়াপুরের ফেরিঘাট থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অগুনতি মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে।
পর্যটকদের পরিষেবা দিতে নবদ্বীপ ও মায়াপুর ফেরিঘাটের মধ্যে নৌকো ও লঞ্চ পরিষেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবদ্বীপ জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। এই সময় নবদ্বীপ মায়াপুরে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন মঠ মন্দিরে ভিড় করছেন হাজার হাজার ভক্ত পুণ্যার্থী ও পর্যটক। ভাগীরথী পার হয়ে কেউ নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর। আবার কেউবা মায়াপুর থেকে নবদ্বীপে পৌঁছচ্ছেন। বড়দিনে প্রায় লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছে বলে মনে করছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
নবদ্বীপ ও মায়াপুর এবং হুলোর ঘাটেও পুলিসি নিরাপত্তার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
পুলিস প্রশাসন জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ১ জানুয়ারি উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিস অফিসার, মহিলা পুলিসকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার ফেরিঘাট থেকে রাস্তা সর্বত্রই মোতায়েন ছিল ও থাকবে। এছাড়া বিশেষ দিনগুলোতে জলপথে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও ফেরিঘাটগুলিতে প্রস্তুত রয়েছেন।