তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা দায়িত্বে ভবানীপুরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে

শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Photo: SNS)

ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হল। কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে প্রচারের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। কোনওভাবে যদি কোভিডবিধি ভাঙা হয় নির্বাচনী প্রচারে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন প্রচার করতে দেবে না। সে কারণে শীর্ষ নেতাদের ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এক ওয়ার্ডের নেতারা যাতে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার না করেন, সে ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আটটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ভবানীপুর পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে অন্য জেলার নেতাদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ একদিকে কোভিড পরিস্থিতি অন্যদিকে বহু সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট করতে চায় না রাজ্যের শাসক দল।

কলকাতা পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুব্রত মুখােপাধ্যায়। সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন। এর মধ্যে তার নিজের ওয়ার্ড ৮২-র পাশাপাশি ৭৪ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।


দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল ভােটে জয়ী করার জন্য দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে। শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছিলেন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।

তিনি বিজেপির প্রার্থীকে ২৮ হাজার ভােটে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় সর্বোচ্চ ভােট পেয়েছিলেন। ২১ হাজার ৩৮০ ভােটে এগিয়েছিলেন শুধুমাত্র এই ওয়ার্ড থেকে। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘােষকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ৬৩, ৭১, ৭২, ৭৩ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২১০০ ভােটে ও ৭০০ ভােটে শােভনদেব পিছিয়ে পড়েছিলেন। এবার কিন্তু এই দু’টি ওয়ার্ডেও তৃণমূল জয়ী হতে চাইছে।

২০১১ সালের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৫৪ হাজার ২১৩ ভােটে জয়ী হয়েছিলেন। সেই ব্যবধান কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২০১৬ সালে। এবার অতীতের সেইসব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করতে চায় তৃণমূল।