ফের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এর ভিক্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল হয়েছে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে। দাখিল পিটিশনে উল্লেখ রয়েছে, গত ২০১৬ সালে আপার প্রাইমারির নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে এসটি বা তপসিলি উপজাতিদের তালিকায় রাখা হয়েছে অন্যদেরকে।
এনিয়েই আদালতের দ্বারস্থ বেশ কয়েক জন এসটি প্রার্থী। এসটি প্রার্থীদের অভিযোগ, তালিকায় নাম রয়েছে ‘মণ্ডল’, ‘মাহাতো’ পদবিভুক্ত প্রার্থীদের। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে কারা এসি তালিকায় থাকবেন, কারা থাকবে না। সেই নির্দেশিকা মানেনি এসএসসি কর্তৃপক্ষ।
এমনকি সম্প্রতি মাহাতোদের যাতে এসটি তালিকায় রাখা হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের তরফে। মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘পঞ্চাশ জনের বেশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।
এসটি ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এসটি তালিকায় রাখা হয়েছে কেন? তা রাজ্য সরকার তদন্ত করেছে বলে জানিয়েছে। আগামী ২১ ডিসেম্বের সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।
উল্লেখ্য, সোমবারই গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। ওই নিয়োগকে কেন্দ্র করে যে অনিয়ম হয়েছে তা সিবিআইকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে আপিল পিটিশনের শুনানি রয়েছে। তবে এরেই মধ্যে এসটি তালিকা নিয়ে মামলা যুক্ত হলো কলকাতা হাইকোর্টে। যা রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের আইনী জটিলতা বাড়ালো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।