মঙ্গলে উষা বুধে পা। আজ বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মঙ্গলবার থেকেই নবান্নে শুরু হয়ে যায় ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানাের প্রস্তুতি। বার বার তিনবার। পরপর তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করা রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি।
আজ সকাল ১০-৪৫ মিনিটে রাজভবনে রাজ্যপাল তাকে শপথবাক্য পাঠ করানে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য আজকের শপথ অনুষ্ঠানকে যথাসম্ভব সাদামাটা রাখা হয়েছে। কাটছাট করা হয়েছে অতিথি তালিকায়।
আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তিনি অবশ্য শারীরিক কারণে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেই খবর। অন্যদিকে আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে বাংলার ‘দাদা’ সৌরভ গাঙ্গুলিকে।
এছাড়া আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে প্রাক্তন বিরােধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিজেপি বিধায়ক মনােজ টিপ্পা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ, রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও।
এছাড়া তৃণমূলের তরফে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখােপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশাের। শপথ গ্রহণের আগের দিনই নবান্নে চলছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের তৃতীয় ইনিংস শুরুর অভিবাদনের প্রস্তুতি।
তাই মঙ্গলবার নবান্নের দেওয়ালে পড়েছে নীল সাদা রঙের পোস্টার। ফুলের কেয়ারিগুলি কেটে ছােট করা হয়েছে। বিকেলের পড়ন্ত গােধুলীর আলােয় সেই মায়াবী দেখাচ্ছিল নবান্ন। ২০১৩ সালে এই নবান্নকেই প্রশাসনিক ভবন হিসেবে বেছে নেন মমতা।
তার আগে ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে রাজভবন থেকে মহাকরণ পায়ে হেঁটে ঢুকেছিলেন মমতা। এবার রাজভবন থেকে গাড়িতে এলে নবান্নে পায়ে হেঁটেই প্রবেশ করলে মমতা। যে পথে তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হেঁটে আসবেন সেই রাস্তা, লিফট মঙ্গলবার থেকেই স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে।
নবান্নের ভারপ্রাপ্ত অফিসাররা দাঁড়িয়ে থেকে সেসব কাজ তদারকি করেছেন। প্রশাসনের নজরদারি ও নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। ভিআইপি প্রবেশপথে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে এলে পুলিশের তরফে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মঙ্গলবারই তার মহড়া হয়েছে নবান্নে। গার্ড অফ অনার নেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর সােজা চলে যাবেন তার দফতরে। শুরু করবেন তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়।
এইদিন প্রথমেই রাজধর্ম পালন করতে ভােট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেবেন মমতা। সেইসঙ্গে করােনা যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে এদিনই।