আজ মােদির ব্রিগেডে থাকবে বিজেপির বাংলা জয় করার আহ্বান

ব্রিগেডে নরেন্দ্র মােদি (Photo: Twitter | @purneshmodi)

রবিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির জনসভা। ব্রিগেডে হবে এই সমাবেশ। মােদির সভাস্থল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ব্রিগেড ময়দানে মােট ৩ টি মঞ্চ হচ্ছে। 

মূল মঞ্চ ৪০ ফুট বাই ৭২ ফুট। এটিতে মােদি-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা থাকবেন। মূল মঞ্চের দু’পাশে ২৪ ফুট বাই ৪০ ফুটের দু’টি মঞ্চ তৈরি হবে। একটিতে দলের অন্য নেতারা থাকবেন এবং মােদির সমাবেশের আগে প্রথম দুই দফার প্রার্থী তালিকা ঘােষণা হয়ে গেলে সেই প্রার্থীরা থাকবেন। 

নিরাপত্তার জন্য মাঠের চারদিকে বাঁশের ব্যারিকেড থাকছে। সমাবেশে যাঁরা যােগ দিতে আসবেন তাঁদের যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট পথ থাকবে। ৭৫ টি মেটাল ডিটেক্টর লাগানাে গেট থাকবে। 


বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সকলে যাতে ভাল করে দেখতে ও শুনতে পারেন তার জন্য মাঠের বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিন থাকবে। রাজ্য নেতৃত্বকে অমিত শাহ এমন নির্দেশও দিয়েছেন যে সমাবেশের এমন চেহারা হওয়া চাই যাতে রাজ্য জুড়ে গেরুয়া হাওয়া তৈরি হয়ে যায়। আর সেই লক্ষ্যে বিজেপি শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গ থেকেও কর্মী, সমর্থকের নিয়ে আসতে চায় কলকাতায়। 

বিজেপি-র দাবি, কলকাতা ছাড়া হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার উপরে বেশি দায়িত্ব থাকলেও কর্মী সমর্থকরা আসবেন দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান থেকেও। এ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার মধ্যে বীরভূম, নদিয়া থেকেও প্রচুর সমর্থককে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকেও ট্রেনে ও বাসে করে আসছেন কর্মীরা। 

ব্রিগেড সমাবেশকে পাখির চোখ করা বিজেপি শুধু সভা করে প্রচার নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে ব্রিগেডে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। শুক্রবার গােটা দিন চুঁচুড়ার বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের বাড়ি গিয়ে ব্রিগেডে আসার আমন্ত্রণ জানান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। গত কয়েক দিন ধরে ব্রিগেড সফল করতে নিজের লােকসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সভা ও বৈঠক সেরেছেন লকেট। 

২২ ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জে সমাবেশ করে গিয়েছেন মােদি। এর পরেও হুগলি থেকে মানুষ আসবেন ব্রিগেডে? এমন প্রশ্নের উত্তরে লকেট বলেন, “শুধু হুগলি জেলা থেকেই দেড় লাখ মানুষ ব্রিগেড়ে যাবেন। ওই দিন ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে ব্রিগেডে।” 

শুধু লকেট নন, রাজ্য বিজেপি-র সব নেতাই বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক বৈঠক ও সভা করছেন ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে। ব্রিগেডে সমাবেশ আয়ােজনের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য বিজেপি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংয়ে উপরে। 

শুক্রবার সভার প্রস্তুতি দেখতে যান কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষাক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সভার আগে শনিবার একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন কৈলাস এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। সেখানেই তিনি বলেন, “মিঠুন’দার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। শনিবার রাতেই তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। ওঁর সম্পর্কে এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এটা ঠিক যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন উনি।” 

প্রসঙ্গত, একদা তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ মিঠুনের সঙ্গে সঙ্ঘ এবং গেরুয়া শিবিরের দহরম মহরমের বিষয়টি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি প্রথম সামনে আসে। মুম্বইয়ের মাড আইল্যান্ডের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান সঙ্ঘ প্রধান মােহন ভাগবত। সেই সময় যদিও সম্ভাব্য বিজেপি-তে যাওয়ার জল্পনা খারিজ করে দেন মিঠুন।

‘রাজনৈতিক’ নয়, ভাগবতের সঙ্গে তাঁর ‘আধ্যাত্মিক’ যােগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘােষণার পর মােদির ব্রিগেড ঘিরে যখন প্রস্তুতি তুঙ্গে, সেখানে মিঠুনের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করে।