কাঁথি উত্তর ও দক্ষিণ দু’টি আসনেই জয়ী বিজেপি। এবার তাই কাঁথির রাজনীতিতে শাসকদলের দাপট বাড়িয়ে অধিকারীদের ক্ষমতা খর্ব করতে পাল্টা রণনীতি তৈরি করছে তৃণমূল। সেই রণনীতিতে প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে কঁথি পুরসভা দখলের চেষ্টা।
বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যােগ দেওয়ার পরে পরেই বিধানসভা ভােটের আগে আগে প্রশাসক পদে থাকা সৌমেন্দুকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। পুরসভায় ভােট হলে যাতে অধিকারী পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের পরাজিত করা যায় তার পরিকল্পনাই চলছে তৃণমূলে।
আর সেই কৌশল সফল করার উদ্যোগে বেশি করে সামনে রাখা হচ্ছে জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। সঙ্গে আছেন অধিকার পরিবারের বিরােধী হিসেবে পরিচিত আর এক মন্ত্রী অখিল গিরিকে।
তৃণমূল সূত্রে জান গিয়েছে, শনিবার কঁথি পুরসভার বর্তমান কো অর্ডিনেটরদের নিয়ে বৈঠক করেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল, সেচমন্ত্রী সৌমেন ও প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। বিধানসভা ভােটের পরে পরেই কাঁথি পুরসভার নতুন প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন অধিকারী পরিবারের বিরােধী হিসেবে পরিচিত সিদ্ধার্থ মাইতি।
সূত্রের খবর, কীভাবে কাঁথি পুর এলাকায় নাগরিক পরিষেবায় জোর দিয়ে পুরভােটের আগে তৃণমূলের পক্ষে জমি মজবুত করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলােচনা হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে পুরভােট নিয়ে কোনও আলােচনা হয়নি বলেই দাবি করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময়। তিনি বলেন, পুরসভা এলাকায় বেশ কিছু সার্ভে নিয়ে আলােচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।