• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

‘তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্য অবশ্যই আমরা দায়ী’, তৃণমূল যুব সভাপতির মন্তব্যে চাঞ্চল্য

তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন করে চাপান-উতোর। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস-সি পি এম-বি জে পি একযোগে আক্রমণ করেছে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এক বিশেষ আলোচনাসভায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের টাউন সভাপতির মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজু আনসারি নামে ডোমকল টাউন তৃণমূল যুবনেতা এদিন এই সভায় বলেন, ‘তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্য অবশ্যই আমরা দায়ী।’ এছাড়াও তিনি তাঁর বক্তব্যে জুনিয়র চিকিৎসকদেরও আক্রমণ করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ডোমকল পুরনো বিডিও অফিস মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ডোমকল ব্লক ও টাউন এবং তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের উদোগে এবং স্থানীয় বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় এই বিশেষ আলোচনাসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন দলের যুব সভাপতি রাজু আনসারি। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন করে চাপান-উতোর। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস-সি পি এম-বি জে পি একযোগে আক্রমণ করেছে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁদের মতে, অনেক দেরি করে হলেও তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি স্বীকার করেছেন, তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্য তাঁরা দায়ী। যদিও এই ঘটনায় ডোমকল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যুব সভাপতির পাশেই দাঁড়িয়েছে। আলোচনা করতে গিয়ে এই যুব নেতা মুখ ফসকে ভুলবশত এই মন্তব্য করে ফেলেছেন বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের ডোমকল টাউন সহ সভপতি রিন্টু মণ্ডল। আলোচনাসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজু আনসারি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের যে চরিত্র আমরা একমাস যাবত দেখলাম, এই একমাস জুনিয়র ডাক্তাররা অবরোধ করা মানে আমাদের রাজ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এই মৃত্যুর দায় নেবে কে? আজ তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্য অবশ্যই আমরা দায়ী। কিন্তু ৩৪ জন বাংলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে যে মারা গেল, এই দায়ভার নেবে কে?’ তিনি আরও বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা যে মিথ্যা রাজনীতি করছে, বি জে পি-র সুড়সুড়িতে যে মিথ্যার রাজনীতি করছে, সেটা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে। এটা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নয়। এটা হচ্ছে এক ধরনের তৃণমূল বিরোধী আন্দোলন। এটা পশ্চিমবাংলার সমস্ত নাগরিক জানে’।