নারায়ণগড়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। মৃতের নাম গণেশ ভুঁইয়া। বাড়ি কুনারপুর অঞ্চলের চককিশাের গ্রামে। এই খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে, দাবি তৃণমূলের।
বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে। পুলিশ এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির সদস্য ও পেশায় ঠিকাদার রবি দে, সুশান্ত ওরফে দুলাল মাইতি সহ আরও কয়েকজন গণেশ ভুইয়ার বাড়িতে হামলা করে। গণেশ বাড়ি ছিল না। বাড়ির লােকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি।
স্থানীয় মানুষ প্রতিরােধ করলে তারা চলে যায়। গভীর রাতে তারা আবার হামলা করে। গণেশের ভাইপাে অমিত ভুঁইয়ার বাড়িতে ভাঙচুর করে। গণেশকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে লােহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানাে হয়। হাত পা ভেঙে যায়। নারায়ণগড় থানায় জানানাে হলেও পুলিশ কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
সকালবেলা নারায়ণগড় অঞ্চলের পাইকা গ্রামের ফুটবল মাঠের কাছে একটি ছােটো জঙ্গলের মধ্যে গণেশের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লােকজন। গণেশের পরিবারের লােকজন বিশেষত তাঁর ভাইপাে অমিত সরাসরি আঙুল তুলেছেন পুলিশ এবং তৃণমূলের একটি গােষ্ঠীর লােকজনদের বিরুদ্ধে।
অমিত বলেন, গত ১৪মে এই রবি দে, প্রবীর দে, দুলাল মাইতিরা মেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে দিযেছিল। পুলিশে অভিযােগ দায়ের করা হয়। পুলিশ রবি দে-কে আটকও করেছিল। কিন্তু পরে ছেড়ে দেয়। এরা সবাই নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দের অনুগামী। মিহিরের ইঙ্গিতেই পুলিশ ঝামেলা থামাতে দোষীদের গ্রেফতারে সক্রিয় হয়নি, এমনটাই অভিযােগ।