ফের নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের দোকানের কাছ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অবিলম্বে দোষীর গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহাদেব বিষয়ী। বয়স ৫২ বছর। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবন চকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি ছিল মহাদেবের। দলের প্রায় সব কর্মসূচিতেই যোগ দিতেন তিনি। বৃন্দাবন চকের বাজার এলাকায় চা-খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। অন্যদিনের মতো বুধবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে তুলে যায় একদল দুষ্কৃতী। সারা রাত তাঁর খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল দোকানের সামনে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর দাবি, নিজের দোকানের সামনে থেকে মহাদেব বিষয়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুটি পা-ই ভাঙা ছিল তাঁর। এছাড়া হাতেও ক্ষত ছিল। মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেই তৃণমূল কর্মীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, মহাদেব দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। সমস্ত কর্মসূচিতেই অংশ নিতেন। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে গিয়ে ওঁকে খুন করেছে। দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
সপ্তাহ দুয়েক আগে নন্দীগ্রামে বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খু্নের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপির লোকজন। তৃণমূল কর্মীর দাদা গুরুপদ মণ্ডলকেও মারধর করা হয়। মারের চোটেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুপদর। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় সোনাচূড়া থেকে উত্তম মাইতি এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।