• facebook
  • twitter
Sunday, 13 April, 2025

রেলের বাংলো দখল করে রেখেছেন দিলীপ

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, রেলের অনুমতি নিয়ে আছি। ভাঙ্গা অবস্থায় এই বাংলো পড়েছিল। রিপেয়ার করে ১০ বছর ধরে রয়েছি।

ফাইল চিত্র

খড়্গপুরে রেলের বাংলো অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠক দেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী এই অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে রেলের দেওয়া তথ্য অনুসারে দিলীপবাবু অবৈধভাবে রেলের বাংলো দখল করে রয়েছেন। রেলের ওই বাংলো অ্যালটমেন্ট না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

সম্প্রতি খড়্গপুরের ৬ নং ওয়ার্ডে একটি রাস্তা উদ্বোধনে এসে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। পরে শহরের তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যেও কটু মন্তব্য করেন। তার সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে দিলীপবাবুর খড়্গপুরের ঠিকানা রেল সেটেলমেন্ট এলাকার সাউথ সাইডে ৬৭৭ নং বাংলোর সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কাউন্সিলর, কর্মী, সমর্থকরা‌। এর পরেই গত ২৪ মার্চ তথ্য জানার অধিকার আইনে দেবাশিস চৌধুরী রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম, সিপিআইও এবং ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারদের (হেডকোয়াটার) কাছে জানতে চান খড়্গপুরে দিলীপবাবু রেলের যে বাংলোয় থাকেন সেই বাংলো কার নামে রেল বরাদ্দ করেছে, সেই বাংলোর নম্বর কত, বসবাসের জন্য ব্যবহৃত রেলের বাংলোগুলির নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক কিনা। তথ্য জানার অধিকার আইনে রেলের তরফে ৩ এপ্রিল জানানো হয়েছে, দিলীপবাবু খড়্গপুরের যে বাংলোতে থাকেন তার নম্বর ৬৭৭। রেলের বাংলো সাধারণত রেল কর্মীদের বসবাসের জন্যই বরাদ্দ করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী প্রতিটি বাংলোর নম্বর থাকা উচিত। এই মুহূর্তে ৬৭৭ নং বাংলোটি কারো নামে বরাদ্দকৃত নয় । রেল আরো জানিয়েছে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ অব্দি ৬৭৭ নং বাংলোটি রেল যাত্রী পরিষেবা কমিটির সদস্য তুষার কান্তি ঘোষের নামে বরাদ্দ করা হয়েছিল। রেলের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে রেলের ওই বাংলো কারো নামে বরাদ্দ করা নেই। এই তথ্য সামনে এনে দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, দিলীপ ঘোষ ওই বাংলো অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন গত পাঁচ বছর ধরে। যিনি মুখে নৈতিকতার কথা বলেন তিনি এই অনৈতিক কাজ করেছেন। দিলীপ ঘোষ নিজে বহিরাগত এবং তার ওই বাংলোয় অনেক বহিরাগত যাতায়াত করেন। এর ফলে এলাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এমনটাই মনে করছি।

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, রেলের অনুমতি নিয়ে আছি। ভাঙ্গা অবস্থায় এই বাংলো পড়েছিল। রিপেয়ার করে ১০ বছর ধরে রয়েছি। রেল অ্যালটমেন্ট করেনি এটা ঠিক। নতুন যাত্রী পরিষেবা কমিটির নাম ঘোষণা হলে অ্যালটমেন্ট করা হবে। তৃণমূল নেতাদের মতো রেলের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করিনি।