• facebook
  • twitter
Thursday, 12 December, 2024

কাটমানি চাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা, অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক মালদহে

আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নিজস্ব গ্রাফিক্স।

আবাসের প্রত্যেক উপভোক্তার কাছ থেকে নিতে হবে টাকা– এমনই নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। মালদহের এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান প্রত্যেক উপভোক্তার কাছ থেকে সাত হাজার টাকা করে কাটমানি নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান)।
মালদহের কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন আহাদ। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ভিডিওতে ওই প্রধান কাটমানি চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভিডিওতে পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আবাদকে নির্দেশ দিতে শোনা যাচ্ছে, আবাস যোজনার তালিকায় কারও নাম তুলতে হলে তাঁর কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নিতে হবে। উপভোক্তারা টাকা না দিলে আবাস যোজনার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হবে না।
আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিডিও সুকান্ত শিকদার বলেন, ‘মানুষ যাতে কাউকে বেআইনিভাবে টাকা না দেন, সেই কারণে দশ দিন ধরে মাইক-প্রচার করা হচ্ছে এলাকায়। কেউ যদি বিডিও অফিসের নাম করে টাকা চেয়ে থাকেন এবং সেই বিষয়ে যদি অভিযোগ হয়, তা হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীদের একাংশ। বিজেপির মালদহ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘তৃণমূলের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নেতাদের পচন ধরেছে। কাটমানি ছাড়া কোনও উপভোক্তা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান না। এ ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। শাসকদলে থাকার সুবাদে প্রশাসনও এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।’
যদিও তৃণমূলের দাবি, কোনও নেতা সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করে থাকলে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি দুলালচন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বড় হচ্ছে। কিছু কিছু পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর নির্দেশ রয়েছে, কোনও সদস্য কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে যদি দুর্নীতি করেন, কাটমানি দাবি করেন, তবে দল রেয়াত করবে না।’