বিজেপি’র সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে আমরা রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে শক্তপোক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করছি। একমাস পর ভার্চুয়াল বৈঠকও হবে এক লক্ষ যুব যোদ্ধাদের সঙ্গে। কীভাবে কাজ করবেন তারা, বাংলার মানুষকে সাহায্য করতে কী কী দায়িত্ব নিতে হবে তাদের, সেগুলিও বলে দেওয়া হবে।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্টের পরে এটা বোঝা যাচ্ছে বিজেপি’র দেখানো পথেই এবার বিজেপি’র মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল। এবার লকডাউনের জন্য একুশে জুলাই-এর তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনের সম্ভান্না নেই বললেই চলে। প্রতিবছর যে মঞ্চ থেকে জনতাকে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার মাধ্যমে সংগঠনকে জোরদার করেন তৃণমূল নেত্রী। এবার লকডাউনের গেরোয় অনলাইন যুদ্ধ ও ভার্চুয়াল সভাই ভরসা ঘাসফুল শিবিরের।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে অভাবনীয় সাফল্য থেকে শুরু করে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সময়কাল পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের সাফল্যের অন্যতম বড় কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার দখলদারি। হাল আমলে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের অস্বস্তির মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমকে ভিন্ন মাত্রায় কাজে লাগিয়েছে মোদি-শাহের দল। এছাড়া আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনেও বিশেষ উৎসাহ নিয়ে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের আইটি সেল।
সেই পথে হেঁটেই সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল মাধ্যমের কার্যকারিতায় এবার বিশেষভাবে ভরসা রাখতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলও। বাংলার আসন্ন নির্বাচনে তাই সোশ্যাল মিডিয়া ডিজিটালমুখী যুব সম্প্রদায়কে টেনে বাজিমাত করার চেষ্ট করছে তৃণমূল শিবিরও। টুইটার ফেসবুকে বিজেপি নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে সুর চড়াোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলও। তবে শুধু বিজেপিকে আক্রমণ করেই নয়, নির্বাচনী আবহাওয়ায় অনলাইন দুনিয়ায় বাংলার যুবশক্তিকে বিশেষভাবে কাজে লাগাতে চাইছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুব ব্রিগেড।
সূত্রের খবর রাজ্যের তরুণদের মানসিকতা বুঝে ভবিষ্যতের জন্য নতুন নেতার খোঁজ চালানো হচ্ছে। জুনের ১১ তারিখে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে যাঁরা রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাঁরা যুব যোদ্ধার পদ পাবেন। রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার জন্যই এই প্ল্যাটফর্ম। এরপর রাজ্য, জেলা এবং ফিল্ড-এই তিনটি কমিটি গঠন করা হবে দলকে নিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ২৮০০ সদস্য থাকলে এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে।
সামাজের দুঃসময়ে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন এঁরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই ৫৫ হাজার যুব যোদ্ধাকে নিয়োগ করা হয়েছে। সত্রের খবর, বিধানসভাভিত্তিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে প্রত্যেককে যোগদান করানো হচ্ছে।