করোনা আবহের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংসদের অধিবেশন ছেড়ে রাজ্যের তৃণমুলের সাংসদরা। সেই সঙ্গে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্গাইয়া নাইডুকে তৃণমুলের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে সংসদের অধিবেশন বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার থেকে অধিবেশন শুরু হলেও তৃণমূলের কোনও সাংসদ সেখানে উপস্থিত থাকবেন না। যদিও দিল্লিতেই থাকছেন তৃণমুলের লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
ডেরেক গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। দিল্লিতে সুদীপের গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সে কারণেই এই দু’জন রাজ্যে আপাতত আসছে না।
এদিকে লোকসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে, সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে। জমায়েত না করে ৬৫ বছরের উপর যাঁদের বয়স, তাদের বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার জন্য বলছে। কিন্তু তার পরেও সংসদ চলতে পারে না।
তৃণমুলের কিছু সাংসদ স্বেচ্ছায় গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন অবিলম্বে স্থগিত করা হোক। কারণ তা না হলে সরকারের কাজে এবং কথায় ফারাক লক্ষ্য করা যায়।
সংসদে প্রত্যেকদিন ৭ হজার লোকের সমাগম হচ্ছে, এটা চলতে পারে না। যদিও এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘোষণা হয়নি। আগামী ৩ এপ্রিল সংসদের বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা। সোমবার দুপুর ২টায় সংসদে অর্থ বিল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এখন দেখা যাক কী হয়।