দলীয় নেতৃত্বের পাঠানো শো কজের চিঠির জবাব দিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার সকালে শো কজের জবাব দেন তিনি। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পিডিএফ ফাইলে জবাব পাঠিয়েছেন হুমায়ুন। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই চিঠি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে পাঠানো হবে এবং তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বুধবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল বিধানসভা। এরই মধ্যে বিধানসভার সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বের দেওয়া হবে। এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়। এর প্রত্যুত্তরে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই কথা প্রত্যাহার না করলে ৪২ জন বিধায়ক আপনার ঘরের বাইরে আপনাকে বুঝে নেবে। আমার জাতিকে অপমান করা হলে, আমি ছেড়ে দেব না। আমাকে মারতে এলে রসগোল্লা খাওয়াব নাকি? ঠুসে দেব। ক্ষমতা থাকলে মুর্শিদাবাদে আসুন, দেখে নেব।
সূত্রের খবর, হুমায়ুনের এই মন্তব্যের জেরে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শো কজের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিধায়ককে শো কজের চিঠি পাঠিয়ে দেন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সেই চিঠির জবাব দেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, আমি ৯টা ৩৫ মিনিটে আমার জবাব পাঠিয়ে দিয়েছি পিডিএফ করে। আমি বলেছি, আমার কাছে দল আগে নয়। আমি হুমায়ুন কবীর।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন জানান, তিনি তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছেন না। তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেননি বলেই মনে করছেন। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শো কজের মুখে পড়লেন হুমায়ুন। নিয়ম অনুযায়ী, আরও একবার শো কজ করা হলে তারপর সাসপেন্ড হবেন তিনি।
শো কজের চিঠির উত্তর প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, কোন প্রেক্ষিতে আমি বলেছি, কেন বলতে বাধ্য হয়েছি, সব ব্যাখ্যা রয়েছে চিঠিতে। দল করি বলে আমার জাতিকে নিয়ে কেউ কিছু বলবে আর হুমায়ুন কবীর চুপচাপ শুনবে, সেটা হবে না। আমি আমার বক্তব্যের জন্য কোথাও ক্ষমা চাইনি। ভবিষ্যতেও চাইব না। তাতে দল যেটা ভাল মনে করবে করবে।
