বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ঋতব্রত

জয় সম্পর্কে নিশ্চিতই ছিলেন। অবশেষে জয় পেলেনও। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএসটিটিইউসির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় গিয়ে শংসাপত্র নিয়ে আসেন ঋতব্রত। তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে ফটো তুলতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে।

শংসাপত্র হাতে পাওয়ার ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন ঋতব্রত। উরুগুয়ের লেখক ও সাংবাদিক এডুয়ার্ডো গ্যালেআনোর লাইন উদ্ধৃত করে তিনি লিখেছেন, ইতিহাস কখনও বিদায় বলে না। বলে, পরে দেখা হবে।

ঋতব্রত একসময়ে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিপিআই(এম) দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে সিপিআই(এম)-এর সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি। কিছু বিতর্কিত ঘটনার জন্য তাঁকে সিপিআই(এম) দল সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে। এর পরে বহুদিন নির্দল রাজনীতি করেছিলেন তিনি। তারপরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০২১ সালে তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

জহর সরকারের ছেড়ে আসা আসনে জয় পেলেন ঋতব্রত। গত সেপ্টেম্বর মাসে আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জহর। সেই সঙ্গে সাংসদ পদেও ইস্তফা দেন তিনি। চিঠি লিখে তিনি মমতাকে জানান, গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’ এই চিঠির ফলে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার ওই সাংসদ পদটাও ছিল শূন্য।